শেরপুর থেকে আবু হানিফঃ
১২ মার্চ দুুুুপুরে নোভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ে শেরপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন।শেরপুর সিভিল সার্জন কাযার্লয়ের হল রুমে অনুষ্ঠিত এ সভায় সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন আবুল কাসেম মোহাম্মদ আনওয়ারুর রউফ, তিনি জানা, করোনা আক্রান্তদের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে ১০ টি শয্যা, ঝিনাইগাতি উপজেলা হাসপাতালে ২০ টি শয্যা, শ্রীবরর্দী হাসপাতালে ২০ টি শয্যা, নালিতাবাড়ীর রাজনগর মা ও শিশু হাসপাতালে ৫০ টি ও নকলার উরফা হাসপাতালে ৫০ টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।এদিকে শেরপুরে নাকুগাও স্থলবন্দর দিয়ে বিদেশ ফেরৎ যাত্রীদের পরীক্ষার জন্য দুইটি মেডিক্যাল টিম করা হয়েছে। করোনা সন্দেহ হলে নালিতাবাড়ী ও নকলার দুটি প্রতিষ্ঠানে কোয়ারেন্টাম (সাধারণ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা) কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন অফিসে খোলা হয়েছে কন্টোল রুম। যা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।দুটি উচ্চ পর্যায়ের মেডিক্যাল টিম করা হয়েছে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য। করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে গণসচেতনতার জন্য জেলার বিভিন্নস্থানে লিফলেট বিলি করা হয়েছে।সিভিল সার্জন আবুল কাসেম মোহাম্মদ আনওয়ারুর রউফ বলেন, করোনা প্রতিরোধে শেরপুর স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বাত্মক গুরুত্ব দিচ্ছে এবং আমরা প্রস্তত। গত ২৮ জানুয়ারী থেকে ১১ মার্চ পর্যন্ত জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার নাঁকুগাও স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াতকারী ৫৩৯ জন যাত্রীকে পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব যাত্রীর কেউই করোনায় আক্রান্ত ছিল না। তিনি মানুষজনকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন বলেন, ইতালি থেকে দেশে ফেরত একজনকে বাজিতখিলাস্থ নিজ বাড়িতে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। মতবিনিময় সভায় নবাগত শেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা ডা. মোবারক হোসেন, ডা. মাসুদ রানা , ডা. আব্দুল হালিম, শেরপুর প্রেস ক্লাব সভাপতি মো.শরিফুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি জিএম বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক দত্ত, শেরপুর টাইমস সম্পাদক শাহরিয়ার মিল্টন, সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তারাসহ জেলার কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্র্রনিক , প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।