খবর৭১ঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের কাছে অন্তত ১৫ দিন পর্যন্ত ট্রেনের টিকিট বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ফলে এসব দেশের যাত্রীরা এ সময়ের মধ্যে ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না।
দেশের পরিবহন ব্যবস্থায় অন্যতম মাধ্যম ট্রেন। পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল মিলিয়ে প্রতিদিনই হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করছেন। পরিবহনের মধ্যে শুধু ট্রেনেই জনসমাগম বেশি হয়। তাই এখানে একজন থেকে অন্যজনের শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। সেই বিষয়টি বিবেচনা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে- করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন সচেতনতামূলক বাণী লিফলেট আকারে যাত্রীদের মধ্যে বিলি করা, করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অডিও ট্রেনের মাইক্রোফোনে বাজানো, প্রত্যেক বগির ওয়াশরুমে পর্যাপ্ত টিস্যু ও হাত পরিষ্কার করার বিভিন্ন হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা।
এছাড়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের মধ্যে ঢাকা, খুলনা ও বেনাপোল স্টেশনে তাপমাত্রা পরিমাপ করার জন্য যন্ত্র বসানো এবং যেসব দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ওইসব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের অন্তত ১৫ দিন টিকিট বিক্রি না করা।
রেলসচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, এখনও ট্রেন বন্ধ রাখার পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আপাতত আমরা প্রত্যেক বগিতে সচেতনতামূলক লিফলেট ও অডিও, ওয়াশরুমে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখছি। এছাড়া ঢাকা, খুলনা ও বেনাপোল স্টেশনে তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র বসিয়েছি। করোনা প্রতিরোধে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৫ দিন পর্যন্ত টিকিট বিক্রি না করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, দেশে ইতোমধ্যে ইতালি ফেরত দুইজনসহ তিনজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই ভাইরাস ঠেকাতে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানও সংকুচিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি জনসমাগম এড়িয়ে চলারও পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এসব বিষয় মাথায় রেখে রেলওয়ে কাজ করছে বলে জানান রেলসচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন।