খবর৭১ঃ নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামিমা নূর পাপিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া তিনটি মামলারই তদন্তভার র্যাবকে দেয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর পাপিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও জালটাকার এই তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের কাছে পাপিয়ার ১৫ দিনের রিমান্ড মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে। এখন মামলা তিনটি তদন্ত করবে র্যাব।
মঙ্গলবার বিকালে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার উপ-পরিচালক মেজর রইসুল আজম।
তিনি বলেন, ‘পাপিয়ার তিনটি মামলা আজ (মঙ্গলবার) র্যাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলাগুলো তদন্তের স্বার্থে কোনও তথ্য প্রয়োজন হলে তার প্রয়োজনে রিমান্ড চাওয়া হবে।’
গত ২২ ফেব্রুয়ারি গোপনে দেশত্যাগ করার সময় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া ওরফে পিউ, তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী (মতি সুমন) এবং তাদের দুই সহযোগী গ্রেপ্তার করে র্যাব। গেপ্তারের পর ফার্মগেটে পাপিয়ার বাসা থেকে বিদেশি অস্ত্র, ম্যাগজিন, গুলি, বিদেশি মদ ও বিপুল পরিমাণ অবৈধ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা জাল টাকার মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীর সঙ্গে তাদের দুই সহযোগীকেও আসামি করা হয়। অন্যদিকে শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দায়ের করা দুটি এই মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীকে আসামি করা হয়।
এই তিন মামলায় পাপিয়াকে পাঁচ দিন করে মোট ১৫ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় আদালত। বিমানবন্দর থানার মামলায় আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলার মধ্যেই মামলার তদন্তভার পায় গোয়েন্দা পুলিশ। তবে অভিযানে সম্পৃক্ত থাকায় র্যাবও পাপিয়ার মামলার তদন্তভার পেতে আগ্রহী ছিল। তদন্তের অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে র্যাব। এর মধ্যে তিন মামলার দুটিতে তদন্তভার পাওয়ার কথা জানানো হলো র্যাবের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারের পর পাপিয়ার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, জমি দখল এবং ওয়েস্টিন হোটেলে নারীদের দিয়ে ‘যৌন বাণিজ্যসহ’ নানা অপকর্মের অভিযোগ আসতে থাকে। এরপর পাপিয়াকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়।