খবর৭১ঃ কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ডাকযোগে আবেদনটি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ।
আবেদনের অনুলিপি আইন এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।
ইউনুস আলী আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং সংবিধানের ১১, ২১, ৩১, ৪৮(৩), ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যে কোনো স্পর্শকাতর জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কারও জন্য ক্ষমা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারেন।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ চেয়ে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি। উনি বয়স্ক এবং অসুস্থ। মুক্তি পাওয়াটা তার সাংবিধানিক অধিকার। ইউএন চার্টার অনুযায়ী, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিলে দেশে মানবাধিকার ফিরে আসবে।
২০১০ সালে রাষ্ট্রপতি ২০ জনের দণ্ড মওকুফ করেছিলেন উল্লেখ করে ইউনুস আলী বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির ক্ষমায়ও খালেদা মুক্তি পেতে পারেন। বিশ্বের অনেক দেশেই বিশেষ দিনে বন্দিদের মুক্তি দেয়া হয়। ঠিক সেইভাবে মুজিব শতবর্ষে খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করে মুক্তি দিলে সমগ্র জাতি সরকারের পদক্ষেপে খুশি হবে এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।’
উল্লেখ্য, ইউনুস আলী আকন্দ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকার একটি আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে অংশ নিয়েছিলেন।