খবর৭১ঃ অনেক শিশু নিজ ঘরে পরিবারের সঙ্গে চনমনে ও প্রাণোচ্ছ্বল। কিন্তু বাইরে গেলে দেখা যায় সে কারও সঙ্গে মিশতে ও কথা বলতে চায় না। লোকজনের সামনে এলেই গুটিয়ে যায়।
বাইরে বা স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যাওয়া, অন্যদের সঙ্গে গল্প করা বাদে গুটিয়ে থাকে। গুটিয়ে থাকলে হবে না। আপনার সন্তানকে অন্য শিশুদের সঙ্গে মিশতে দিতে হবে।
স্কুল, পড়াশোনা, টিউশন, কো কারিকুলামের চাপে অনেক সময় শিশুদের খেলা বন্ধ থাকে। এটি করবেন না। যা শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।
এসব গুটয়ে থাকার সমস্যা দূর করতে হবে। তবে তার একার চেষ্টায় নয়। এ দায়িত্ব নিতে হবে শিশুর বাবা-মায়ের।
আসুন জেনে নিই শিশুকে কৌশলী বানাতে কী করবেন?
১. সারাক্ষণ কুক্ষিগত না রেখে অন্য শিশুদের সঙ্গে মিশতে দিন।
২. শিশুকে গুছিয়ে কথা বলতে শেখান। সাহায্য করুন গুছিয়ে উত্তর দিতে। চোখের সামনেই রেখেও সবার সঙ্গে সাবলীলভাবে মিশতে দিন।
৩. শিশুরা অভিযোগ একদম পছন্দ করে না। সন্তানের সামনে তার নেতিবাচক দিক নিয়ে হাসিঠাট্টা ও মশকরা করবেন না।
৪. মিশুকে অতিরিক্ত রাগ দেখাবেন না। অন্তর্মুখী শিশু অনেক সময় বাইরে মিশতে পারে না। বন্ধুরা মেলামেশা করতে পারলেও সে হয়তো দলে থেকেও সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারে না। এমন সময় তার সম্পর্কে অন্যের কাছে নেগেটিভ মন্তব্য করবেন না। বরং সে যাতে সবার সঙ্গে আলাপ করতে চায়, বন্ধুত্ব করতে পারে, সে ক্ষেত্রে নিজেই এগিয়ে আসুন।
৫. অচেনা কেউ কোনো প্রশ্ন করলে নিজে উত্তর দেবেন না। কিছু জিজ্ঞাসা করলে অনেক সময় অনেক শিশুই তার উত্তর দিতে চায় না। এ ক্ষেত্রে অনেক মা-বাবাই তার জড়তা ঢাকতে বা শিশুকে উত্তর না দিতে দিয়ে নিজেই জবাব দেন। শিশুকে নিজে উত্তর দিতে শেখান।
৬. শিশুকে বিকালে খেলার মাঠে নিয়ে যান। খেলাধুলো করালে সন্তান নিজেই মিশতে শুরু করবে অন্যদের সঙ্গে।
৭. সন্তানকে অকারণে চাপ দিয়ে, জোর করে পারফর্ম করাবেন না।
৮. বাড়িতে অতিথি কেউ এলে তাকে পানির গ্লাসটা এগিয়ে দিতে বলেন। দোকানে গেলে কোনো কিছুর দাম জানতে চাওয়া, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নিজের সুবিধা-অসুবিধার অন্তত বেসিকটুকু জানিয়ে রাখা, এগুলোয় ওকেই এগিয়ে দিন। নিজে দূর থেকে পাহারা দিন সন্তানকে।