খবর৭১ঃ
বর্তমানে একই করোনাভাইরাসের দুটি ধরন মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে এবং অধিকাংশ মানুষই সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ধরনটিতে সংক্রমিত হচ্ছেন বলে জানিয়েছে চীনের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।
বেইজিংয়ের পেকিং বিশ্ববিদ্যালয়, সাংহাই বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস-এর গবেষকরা গবেষণাটি পরিচালনা করেন।
বেইজিং ও সাংহাইয়ের বিশেষজ্ঞ দল বলছেন, আক্রান্তদের প্রায় ৭০ শতাংশই সংক্রমিত হয়েছেন এই ভাইরাসের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ধরনটিতে। আক্রমণাত্মক প্রজাতিটি ছড়াতে শুরু করে জানুয়ারির শুরুর দিকে।
যে কারণে সংক্রমিত হওয়ার পরপরই মানুষ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু বর্তমানে একটি পুরোনো ও শান্ত প্রজাতি বেশি সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। এভাবে ধরন বদলানোর কারণে ভাইরাসটির চিকিৎসা অথবা শনাক্তকরণ কঠিন হতে পারে।
একই সঙ্গে আক্রান্ত হওয়ার পর যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের পুনরায় এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে। গবেষকরা মাত্র ১০৩টি নমুনার ওপর গবেষণা চালিয়ে করোনাভাইরাসের রূপান্তরের ধরন নিশ্চিত হয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত গবেষণা দরকার বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তারা। করোনাভাইরাসের ১০৩টি নমুনার জিন নিয়ে গবেষণা করেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। তারা এই জিনের নাম দিয়েছেন সার্স-কোভ-২।
এই ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এ তারা দুটি প্রজাতি পেয়েছেন; যার নাম দেয়া হয়েছে এল এবং এস।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৯৪ হাজার ৭৮ জন এবং প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩ হাজার ২১৮ জন। আক্রান্ত ও নিহতদের অধিকাংশই চীনের। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। তখন থেকে সংক্রমিত হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৫০ হাজার ৬৯২ জন।