খবর৭১ঃ অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ডিজাইন শাখার কর্মকর্তা (সাময়িক বহিষ্কৃত) জাজাউল হক মুন্সী জুন্নুর তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৫১৪ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। আসামি জুন্নু গোপালগঞ্জের বৌলতলীর কলপুর গ্রামের মৃত জুলফিকার আলী মুন্সীর ছেলে।
আসামি জুন্নু এ মামলায় জামিনে ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে হাজির হননি। তার পক্ষের আইনজীবী আদালতে সময় আবেদন করেন। আদালত তা নাকচ করে রায় ঘোষণা করেন এবং তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত সূত্র জানায়, আসামি জুন্নু রাজউকে কর্মরত থাকাকালীন ১৯৯৮ সালের জুন থেকে ২০১৪ সালের জুলাই পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ মোট ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৫২৩ টাকা আয় করেন। ওই সময়ে তিনি ৪ লাখ ৬০ হাজার ৪০০ টাকা ব্যয় করেন। আয় থেকে ব্যয় বাদ দিলে তার ২ লাখ ৩ হাজার ১২৩ টাকার সম্পদ থাকার কথা। কিন্তু তার ও তার পোষ্যদের নামে ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬৩৭ টাকা সম্পদের তথ্য পায় দুদক।
এছাড়া গোপালগঞ্জ সদরে চারটি দলিলে কেনা সম্পত্তির মধ্যে দুইটিতে তিনি তার পেশা ব্যবসা উল্লেখ করেন। আসামি যে বেতনভাতা পান, তা দিয়ে সংসারের খরচ নির্বাহ করে জমি কিনতে পারার কথা নয়।
অবৈধভাবে অর্জিত ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৫১৪ টাকা দিয়ে জমি কিনেছেন উলেখ করে ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর মতিঝিল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক এসএম রফিকুল ইসলাম মামলাটি করেন।
তদন্ত শেষে একই কর্মকর্তা ২০১৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। এরপর ২০১৮ সালের ২৫ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন আদালত। মামলায় চার্জশিটভুক্ত ছয় সাক্ষীর মধ্যে চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।