খবর৭১ঃ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বাংলাদেশে শনাক্ত হলেও আতঙ্কিত না হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ এবং শনাক্ত হলে তা নিয়ন্ত্রণে সরকারের সব প্রস্তুতি রয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। করোনাভাইরাস নিয়ে প্রস্তুতি বিষয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আলাদা আইসোলেটেড ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চিকিৎসক, নার্সদের প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। করোনা শনাক্তকরণের জন্য পর্যাপ্ত কিটস রাখা আছে। এর পাশাপাশি দেশের প্রতিটি জেলার প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ১০ সদস্য বিশিষ্ট আলাদা আলাদা দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
মন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব, অন্যান্য জ্যেষ্ঠ সচিবসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, এডিবি, ইউনিসেফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ইউএসএইডের প্রতিনিধিবর্গদের সমন্বয়ে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য আক্রান্ত দেশগুলো করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শুরুতে যা যা অবহেলা করেছিল আমরা তা করিনি। সবদিক দিয়েই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। সুতরাং দেশে কোনো কারণে করোনাভাইরাস চলে এলেও তা বড় কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।’
করোনাভাইরাসের জন্য মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান বাতিল করা হবে কি না সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী ১০০ বছরে একবার আমরা পাবো। যেহেতু দেশে এখন পর্যন্ত একজনও করোনাভাইরাস রোগী পাওয়া যায়নি, কাজেই করোনাভাইরাসের কারণে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের কোনো অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে না।’
ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।