খবর৭১ঃ বর্তমানে দেশে ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৯৮ লাখ ১৯ হাজার ১১২ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার হয়েছেন ৫৫ লাখ ৭৯ হাজার ৩০ জন।
সোমবার বিকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা এ তথ্য জানান।
সিইসি বলেন, দেশে এখন নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২২ জন। পুরুষ ভোটার পাঁচ কোটি ৫৪ লাখ ৮২ হাজার ৫৩০ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার ৩৬০ জন। চূড়ান্ত এই ভোটার তালিকা থেকে ২০১৯ সালে মৃত্যুজনিত কারণ, দ্বৈত নাগরিকত্বসহ নানা কারণে রিভাইজিং অথরিটি অথরিটির কর্তৃক মোট ভোটার তালিকা থেকে কর্তন করা হয়েছে ১৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৪০ জন।
২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল সারা দেশের ৫১৯টি উপজেলা ও থানায় একযোগে হালনাগার কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০২ সালের ১ জানুয়ারিতে জন্ম নেওয়া ১৮ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাগরিকদের চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই কার্যক্রমে প্রথমবারের মতো প্রত্যেক ভোটারের চোখের আইরিশ ও ১০ আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কোনো রোহিঙ্গা যাতে ভোটার না হতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনে রক্ষিত রোহিঙ্গা তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহার করে নিবন্ধিত নাগরিকদের তথ্য যাচাই করা হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ভোটার তালিকার খসড়া হালনাগাদ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের অপারেশন প্ল্যানিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন অফিসার ইনচার্জ স্কোয়াড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান জানান, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার সংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার ৮২ জন। এরপর ২০২০ সালের ২ মার্চ পর্যন্ত হালনাগাদ কার্যক্রমে ভোটার হয়েছেন ৫৫ লাখ ৭৯ হাজার ৩০ জন নাগরিক। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৯ লাখ ৯ হাজার ৫৬১ জন আর ২৬ লাখ ৬৯ হাজার ১০৯ জন মহিলা ভোটার। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার হয়েছেন ৩৬০ জন।
স্কোয়াড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান বলেন, তালিকায় যুক্ত হওয়াদের মধ্যে পুরুষ ভোটার বৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ১ শতাংশ ও নারী ভোটার বৃদ্ধির হার ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ।