খবর৭১ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের শিশু-কিশোররা অত্যন্ত মেধাবী এবং আমরা এই মেধা বিকাশের সুযোগই করে দিতে চাই। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক এবং দুর্নীতি থেকে তাদের দূরে রেখে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় শিশুদের অধিকহারে যুক্ত রাখার মাধ্যমে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক এবং দুর্নীতি থেকে দূরে রেখে তাদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার তার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শনিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ছেলেদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ডকাপ ফুটবল অনূর্ধ্ব-১৭ এবং মেয়েদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল অনূর্ধ্ব-১৭-এর ফাইনাল খেলা উপভোগ শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
ফুটবলকে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা তার সরকার দেশের ফুটবলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। তিনি বলেন, ‘ফুটবল হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা-এটা হচ্ছে বাস্তবতা। কাজেই এই ফুটবল সামনে এগিয়ে যাক, সেটাই আমরা চাই।’
লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া এবং সংস্কৃতি চর্চা অপরিহার্য্ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশু-কিশোর এবং তরুণদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায়, তারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারে এবং মনও যথেষ্ট উদার হয়। সবচেয়ে বড় কথা হল দেশের জন্য গৌরব বয়ে নিয়ে আসতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে ক্রীড়াক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট অগ্রগতি লাভ করেছি। এই অগ্রগতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।’
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবলে অতিরিক্ত সময়ে গোলে বরিশাল বিভাগ ২-১ গোলে চট্টগ্রাম বিভাগ দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। আর মেয়েদের বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল অনূর্ধ্ব-১৭ প্রতিযোগিতার ফাইনালে খুলনা বিভাগ দল ট্রাইবেকারে ৪-৩ গোলে ঢাকা বিভাগ দলকে হারিয়ে শিরোপা জয় করে। নির্ধারিত সময়ে খেলা ২-২ গোলে অমীমাংসিত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ দলকে ট্রফি এবং প্রাইজমানিসহ খেলোযাড়দের হাতে ব্যক্তিগত পুরস্কারও তুলে দেন।
যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন, ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জোয়াও তাবারাজা ডি অলিভিয়েরা জুনিয়র, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরকারের পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল থেকে আসা শিক্ষার্থীসহ বিপুলসংখ্যক ক্রীড়ামোদী দর্শকও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।