খবর৭১ঃ দেশে বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আরও জাপানি বিনিয়োগের প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে জাপানের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান জিরা (জেইআরএ) কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাতশি ওনডা সাক্ষাতে এলে এমন প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব সাংবাদিকদের বৈঠক সম্পর্কে অবহিত করেন।
প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশে বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আরও জাপানি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেছেন। তিনি বলেছেন, দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং উন্নয়নমূলক কাজের সাথে সাথে বিদ্যুতের চাহিদাও দ্রুত বাড়ছে। কাজেই চাহিদা পূরণের জন্য আমাদের খাতটিতে আরও বিনিয়োগের প্রয়োজন।’
জবাবে জিরা প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, তাদের কোম্পানি জাপানে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। যা দেশের মোট চাহিদার শতকরা ৫০ শতাংশ।
প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে জিরাসহ বিভিন্ন জাপানি কোম্পানির বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বৈঠকে দেশের বিদ্যুৎ খাতের সম্প্রসারণে জাপান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন।’
সাতশি ওনডা রিলায়েন্স বাংলাদেশ পাওয়ার এবং এলএনজি কোম্পানির যৌথ প্রকল্প সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। সাতশি ওনডা প্রধানমন্ত্রীকে জানান, মেঘনা ঘাটের ৭১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ২০২২ সাল নাগাদ উৎপাদন শুরু হবে।
দেশের সামিট পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে যৌথভাবে একটি ৩৩৫ মেগওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে উল্লেখ করে জিরা সভাপতি বলেন, ‘আমরা সামিটের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আরও কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে চাই।’
সামিট-জিরা মিতসুবিশি কনসোর্টিয়াম ইতিমধ্যে কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করে আগ্রহপত্র (ইওআই) জমা দিয়েছে বলেও জানান সাতশি ওনডা।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, পিএমও সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ও সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহম্মদ আজিজ খান উপস্থিত ছিলেন।