খবর৭১: অ্যারাব-ইসলামিক-আমেরিকান সামিটে যোগ দিতে শনিবার সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার রিয়াদের বাদশাহ আবদুল আজিজ কনভেনশন সেন্টারে এই শীর্ষ সম্মেলন শুরু হবে। যেখানে সৌদি আরব সফরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও যোগদান করবেন।
সম্মেলনে মূলত সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের ৪১টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২০টির বেশি দেশের নেতারা এতে অংশ নেয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
সম্মেলনের লক্ষ্য হচ্ছে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় নতুন অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা, সহনশীলতা ও সহাবস্থানের মূল্যবোধের প্রসার এবং নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদার করা। ভবিষ্যতে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, ফিলিস্তিন সংকটসহ এই অঞ্চলে চলমান ভূরাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়েও সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট সৌদি সফরের সময় দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নেবেন। এর পাশাপাশি তিনি উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার (জিসিসি) নেতাদের নিয়ে একটি এবং মুসলিম বিশ্বের নেতাদের সঙ্গে আরেকটি ফোরামে আলোচনা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের মতো বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবিলা করাই সৌদি কেন্দ্রের প্রধান লক্ষ্য। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে এ বিষয়ে সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করাই এর উদ্দেশ্য। সৌদি কেন্দ্রের নামকরণ হয়েছে ‘গ্লোবাল সেন্টার ফর কমব্যাটিং এক্সট্রিমিস্ট থট’। বাংলাদেশ মনে করে, এই যে হানাহানি চলছে, এর অবসান হওয়া উচিত। প্রতিটি দেশকে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের জনগণের জীবন যাপন ও বিকাশে কাজ করতে হবে। সৌদি নেতৃত্বাধীন উদ্যোগকে এখনই জোট বলা ঠিক হবে না। এটি ক্রমবিকাশমান। এ বিষয়ে এখনো লিখিত কিছু হয়নি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আগ থেকেই বলে আসছে- সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে থাকলেও কোনো যুদ্ধে বাংলাদেশ জড়াবে না। তবে মুসলমান দেশ হিসেবে দুই পবিত্র মসজিদের ব্যাপারে যে ভক্তি ও ভালোবাসা আছে, যদি মক্কা ও মদিনার মসজিদ হুমকিতে পড়ে এবং সৌদি আরব আমাদের সহযোগিতা চায়, তাহলে অবশ্যই সৈন্য পাঠাব। যদি এ রকম কিছু হয়, তবে সামরিক সাহায্য দিতে প্রস্তুত থাকব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্র জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জোরালো অবস্থান এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাফল্য তুলে ধরবেন। এ ছাড়া তিনি তাঁর বক্তৃতায় এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যৌথভাবে করণীয় সম্পর্কে প্রস্তাব তুলে ধরবেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো সৌদি আরব সফর করছেন ট্রাম্প। সফরকে সামনে রেখে সৌদি আরবের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অভ্যর্থনার আয়োজন শুরু হয়েছে,যার মূল কার্যক্রম শুরু হবে ২০ মে। সৌদি সরকার তার এ সফরের জন্য বরাদ্দ করেছে ২৫ কোটি ৭০ লাখ রিয়াল ।
খবর৭১/এস: