খবর৭১ঃ চীনের উহানে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের থাবা পড়েছে ইরানেও। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইরানের ছয় নাগরিক মারা গেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আরও ২৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা শংকটাপন্ন। দেশটির কুয়াম থেকে বাবোল, আরাক, ইসফাহান ও রাশত অঞ্চলে ভাইরাসটির বিস্তার ঘটেছে। এমনকি রাজধানী তেহরানেও কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মিনোও মোহরেজ।
এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে থাকা ৭শর বেশি নাগরিককে ফিরিয়ে নিতে চার্টার ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে কুয়েত।
ইতিমধ্যে শনিবার প্রথম পাঁচটি ফ্লাইটে ১৩০ জন যাত্রী কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
শনিবার কুয়েত এয়ারওয়েজ ও কুয়েত বার্তা সংস্থা (কুনা) এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মিনোও মোহরেজ ইসলামি বলেছেন, ২৮ আক্রান্তের অধিকাংশই কুয়াম শহরের। শহরটি রাজধানী তেহরান থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে এটির অবস্থিত। তবে ভাইরাসটির অস্তিত্ব ইরানের সব শহরে পাওয়া গেলেও অসম্ভব কিছু না।
এমন পরিস্থিতিতে কুয়ামে সব ধরনের ধর্মীয় সমাবেশ বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
মোহরেজ বলেন, শহরগুলোতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে; এটা পরিষ্কার। কুয়ামে কাজ করা চীনা শ্রমিকরাই এই বিস্তারের মূল উৎস হতে পারেন। তারা নিয়মিত চীন ভ্রমণ করেন।
শনিবার নতুন করে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান তিনি।এর আগে বুধবার মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ হিসেবে ইরানে দুজনের মৃত্যু হয়। শুক্রবার মৃত্যু হয় আরও দুজনের। পরে
ইরানের মারকাজী প্রদেশের কেন্দ্রীয় শহর আরাকে শনিবার আরও এক করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যান।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে এক নারী দেহে প্রথম কভিড-১৯ এর ভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর গত দেড় মাসে দ্রুত বিস্তার লাভ করে ভাইরাসটি এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্তত ২৯টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে থেকে সৃষ্ট কোভিড-১৯ নামক রোগে এখন পর্যন্ত আক্রান্তেন সংখ্যা এখন ৭৬ হাজার ২৮৮ জন। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৫।