খবর৭১ঃ বগুড়ার শাজাহানপুরে স্বামীর বিরুদ্ধে দুই বন্ধুকে দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণের পর এসিডে শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার বেলা ১১টায় উপজেলার চকলোকমান এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যরা জানান, স্বামী তার দুই বন্ধুকে সাথে নিয়ে বাসায় ঢুকে স্ত্রীর হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলেন। এসময় তাকে দুই বন্ধু ধর্ষণ করে। পরে তাকে শারীরিকভাবেও নির্যাতন করা হয়। এসিড দিয়ে ঝলসে দেয়া হয় শরীরের বিভিন্ন অংশ। ব্লেড দিয়ে কেটে রক্তাক্ত করা হয় শরীর।
এক পর্যায়ে গৃহবধূর চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এরে পালিয়ে যায় স্বামী ও তার দুই বন্ধু। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তি না নিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা। সেখানে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে গৃহবধূ চিকিৎসাধীন। গৃহবধূর মা সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পাষণ্ডদের শাস্তি দাবি করেছেন।
অভিযুক্ত স্বামীর নাম রফিকুল ইসলাম (২৮)। গাবতলী উপজেলার বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের মালিয়ানডাঙ্গা গ্রামে তার বাড়ি। ২০১৮ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন স্ত্রী। মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য তিনি স্ত্রীর ওপর চাপ দিয়ে আসছিলেন। এতে রাজি না হওয়ায় এই কাণ্ড ঘটান বলে জানা গেছে।
ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ এক ছেলের মা। তিনি ওই এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থেকে বাসাবাড়িতে কাজ করতেন।
শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আজিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।