খবর৭১ঃ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বপ্রণোদিত প্রত্যাবাসন এবং কাঙ্খিত সামাজিক পূনর্মিলনের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত কর ‘ -বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ‘শান্তিবিনির্মাণ ও টেকসই শান্তি: সংঘাত ও সংঘাত-পরবর্তী পরিস্থিতির ন্যায় বিচার‘ শীর্ষক এক উন্মুক্ত আলোচনায় প্রদত্ত বক্তব্যে একথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
তিনি সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসা দেশগুলোর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিচার ব্যবস্থার গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন এবং রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নৃশংস অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) যুগান্তকারী সিদ্ধান্তকে স্বাগত গত জানান। ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিজ এর নির্দেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বলে অভিহিত করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
নিরাপত্তা পরিষদের ‘নারী শান্তি ও নিরাপত্তা’ এবং ‘যুব শান্তি ও নিরাপত্তা’ এজেন্ডাসমূহের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পূনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘সশস্ত্র সংঘাতকালে শিশু ও নারীদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং এর দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের বহু-পাক্ষিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে সমর্থনদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অন্যতম প্রধান সৈন্য ও পুলিশ প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাত-প্রবণ এলাকায় বাংলাদেশ যে অবদান রেখে চলেছে তা তুলে ধরেন স্থায়ী প্রতিনিধি। ‘সংঘাত পরবর্তী পরিস্থিতি’ বিষয়টির ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘যাতে কেউ অপরাধের দায়মুক্তি না পায় তা নিশ্চিত করা, অপরাধের দায়বদ্ধতা নিরূপণ করা এবং অতীত সংঘাত ও সহিংসতার দুষ্টু চক্র ভেঙ্গে ফেলা অত্যন্ত জরুরি’। এক্ষেত্রে অসমতা, বৈষম্য, বর্জনসহ সমাজে সংঘাত ও সহিংসতা সৃষ্টি করতে পারে এমন মূল কারণগুলি চিহ্নিত করা এবং তা প্রতিরোধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
নিরাপত্তা পরিষদের চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের সভাপতি বেলজিয়াম এই উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে।