খবর৭১ঃ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, ২০২০ মুজিব বর্ষ উপলক্ষে নির্বাচিত মাদ্রাসাগুলোতে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া মাদ্রাসাসগুলোতেও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার নির্মাণ করা হবে। তাছাড়া কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন সব মাদ্রাসায় মুজিব বর্ষ উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচির আলোকে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্যও ইতিমধ্যে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে মোছা. শামীমা আক্তার খানমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নূর মোহাম্মদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৯৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষায় শিক্ষিত করে এবং বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সমমানের উচ্চশিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, তথ্য-প্রযুক্তি ও দক্ষতায় গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উচ্চ শিক্ষা গবেষণায় এ সব অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
মো. মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নকে গতিশীল ও স্থায়ী করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উপযুক্ত, সুশিক্ষিত ও আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। তিনি জানান, এরই ধারাবাহিকতায় ৫ম শ্রেণিতে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত এবং ৮ম শ্রেণিতে বৃত্তিপ্রাপ্তদের ১০ শ্রেণি পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনাবেতনে অধ্যয়ন এবং প্রতিবছর সম্পূর্ণ বিনাবেতনে অধ্যয়ন এবং প্রতিবছর সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বৃত্তিপ্রাপ্তদের পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করার নির্দেশনা রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক বেতন বাবদ ১ হাজার ৫০ টাকা হারে, যা চলতি বছরে ১ হাজার ৩৫০ টাকা হারে আদায় করেছে, তাই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফেরত দেয়ার জন্য ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড থেকে স্মারকপত্র মূলে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী দীর্ঘদিন একই জায়গায় কর্মরত সরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক/শিক্ষিকাদের অন্যত্র বদলি বা পদায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাগণকে অন্যত্র বদলি বা পদায়নের কোনো নীতিমালা নেই।