খবর৭১ঃ ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচেও হল্যান্ডের সাথে বৃষ্টিভেজা ম্যাচে ২০ রানের কমে ৪ উইকেট হারিয়ে নাভিশ্বাস অবস্থা ছিল বাংলাদেশের। সেই সংকটে, বিপদে আর প্রয়োজনে শক্ত হাতে হাল ধরেছিলেন তখনকার অধিনায়ক আকরাম খান।
এদিকে, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালের টান টান উত্তেজনা ম্যাচে বাংলাদেশকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়ে জয় এনে দেন যুব অধিনায়ক আকবর আলী।
আইসিসি ট্রফিতে প্রথমে মিনহাজুল আবেদিন নান্নুকে সাথে নিয়ে পরে একাই লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে দারুণ এক ম্যাচ জেতানো ‘ফিফটি’ উপহার দেন অধিনায়ক আকরাম খান।
তার হাত ধরেই আসলে সেমিতে পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
আজ ২৩ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রমে দেখা মিললো আরেক নবীন আকরাম খানের। পূর্বসূরী আকরাম খানের মত এবার দলের বিপদে ত্রাণকর্তার ভূমিকায় আকবর আলী।
একের পর এক যখন উইকেট পড়ছিল ভারতীয় বোলারদের সামনে, তখন দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাটিং করে গেছেন আকবর আলী। ৭৭ বল মোকাবেলা করে তিনি খেললেন অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে মারলেন ১টি ছক্কার মার।
সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজরা যা করে দেখাতে পারেননি, আকবর আলীর ছেলেরা সেটাই করে দেখালেন নেলসন ম্যান্ডেলার দেশের মাটিতে। ২৩ বল বাকি থাকতে তিন উইকেটে ভারতকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ।
আইসিসি পেল নতুন চ্যাম্পিয়ন।
তার এমন অসাধারণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে ফাইনাল সেরা হিসেবেই বেছে নিলেন বিচারকরা। বিশ্ব যুব ক্রিকেটের ফাইনালে রাজ্যজয়ী বীরের মত দল জিতিয়েই হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছেন আকবর আলী।