খবর৭১ঃ নেত্রকোনার মদনে এস এস সি (ভোকেশনাল) পরীক্ষার প্রথম দিন ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নিয়ে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্র সচিবের বিরুদ্ধে। ফলে পরীক্ষার্থী অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার আদর্শ কারিগরি বানিজ্য কলেজ কেন্দ্রে প্রথম দিনের বাংলা-২ পরীক্ষার সময় এ ঘটনা ঘটে। এতে পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভোগছে শিক্ষার্থীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৩ ফেব্রুয়ারী বাংলা বিষয়ে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় ভোকেশনালের নিয়মিত ও অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিবের অসতকর্তার কারনে নতুন সিলেবাসের পরীক্ষার্থীদের দেয়া হয় পুরাতন সিলেবাসের প্রশ্নপত্র। শিক্ষার্থীরা পরের দিন সহপাঠিদের সাথে প্রশ্নপত্র নিয়ে আলোচনা করলে বিষয়টি বুঝতে পারে। এ নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের সাথে আলোচনা করলে তিনি এ বিষয়ে সবাই পাশ করবে বলে পরীক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন। তবে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে পুরাতন সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে উত্তর দিয়ে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাশ করার বিষয়টি নিয়ে খুবই দুশ্চিতায় রয়েছেন।
পুরাতন সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেওয়া নিয়মতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে রবিউল ইসলাম, জুনাইদ আহম্মদ, আলমগীর কবির, তামান্না খানম রুমপা,তুষার রঞ্জন দাস, হৃদয়, তামিম, সৌরভ, মৌরিন অভিযোগ করে জানান, আমাদের নতুন সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্টিত হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা ৩০ জন পরীক্ষার্থীকে দেয়া হয়েছে পুরাতন সিলেবাসের প্রশ্নপত্র। পরীক্ষার হলে বিষয়টি নিয়ে খটকা লাগলেও আমরা বুঝতে পারিনি। পরের দিন যখন সহপাঠিদের সাথে প্রশ্নপত্র নিয়ে আলোচনা করি তখন আমরা ভূল বুঝতে পারি। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম গাজী স্যারের সাথে আলোচনা করলে তোমরা এ বিষয়ে পাশ করবে বলে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেন। স্যারদের কারনে ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছি এখন আমাদের কি হবে? আদর্শ কারিগরি বানিজ্য কলেজ অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব, রফিকুল ইসলাম গাজী জানান, পুরাতন পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র বিতরণের সময় ভূলবশত কয়েক জন নিয়মিত পরীক্ষার্থীর কাছে প্রশ্নপত্র চলে যায়। তাদের খাতাও বোর্ডের প্যাকেটে ভরে প্রেরণ করা হয়েছে। কয়েক জন পরীক্ষার্থী এ বিষয়টি জানার জন্য আমার কাছে আসলে তাদের ফলাফলে কোন সমস্যা হবে না বলে দিয়েছি। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওয়ালীউল হাসান জানান, বিষয়টি শুনে কেন্দ্র সচিবকে লিখিত ভাবে আমাকে জানানোর জন্য বলেছি।