খবর৭১ঃ ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ন্যূনতম সুষ্ঠু ভোট হয়নি এবং নির্বাচনী ফলাফল মনগড়া বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আউয়াল।
ভোট কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির ডাকা আজকের হরতালে সংহতি জানাতে গিয়ে এ কথা বলেন দুই প্রার্থী।
আজ রবিবার বেলা দুইটার দিকে নয়াপল্টনে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভে অংশ নেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ইশরাক হোসেন ও ঢাকা উত্তরের প্রতিদ্বন্দ্বী তাবিথ আউয়াল।
সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ঘোষিত ফলাফর অনুযায়ী, ঢাকা দক্ষিণে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৫ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রকোশলী ইশরাক হোসেনের ভোট ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫১২।
আর ঢাকা উত্তরে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১১ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। এই সিটিতে বিএনপির তাবিথ আউয়াল ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৬১ ভোট পান।
ভোট প্রত্যাখ্যান করে শনিবার রাতে হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। তবে রবিবার সকালে রাজধানীতে হরতালের সমর্থনে তেমন কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি। যদিও সাতসকালে নয়াপল্টনে হাতেগোনা কয়েকজনকে নিয়ে অবস্থান করেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।
সময়য়ের সঙ্গে সঙ্গে কিছু নেতাকর্মী বাড়ে নয়পল্টনে। বেলা দুইটার দিকে যোগ দেন ইশরাক ও তাবিথ। ইশরাক হোসেন যোগ দিয়েই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান ধরেন। পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন দুজন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফলের যে পরিমাণ ভোট দেখানো হয়েছে, তার চাইতে অনেক কম ভোট কাস্ট হয়েছে। আমরা দেখেছি, আওয়ামী লীগের সমর্থকরা সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেননি। যে ফলাফল ঘোষণা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ মনগড়া। একটি সাজানো ফল। এ ফলাফলের মাধ্যমে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। আমরা এ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি।’
আর ঢাকা উত্তরের বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল মনে করেন ঢাকা সিটি নির্বাচনে নূন্যতম সুষ্ঠু ভোট হয়নি। বলেন, ‘এ রকম নির্বাচন আমরা কখনোই প্রত্যাশা করিনি। আমরা এই ভোটচুরির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি।’