খবর৭১ঃ
ইভিএমের ওপর জনগণের কোনো আস্থা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। ঢাকা সিটি নির্বাচনে ভোট দিতে এসে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন তিনি। এ সময় ড. কামাল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ত্রুটি এবং কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্ট না থাকার অভিযোগও করেন।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে ভিকারুননিসা ন্যূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট দিতে আসেন প্রবীণ এই আইনজীবী। ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইভিএমে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০ মিনিট ধরে বারবার সমস্যা হচ্ছিল। এ কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট ঢুকতে দেয়া হয়নি। অথচ বাইরে শত শত বহিরাগত নৌকার বেজ পরে মহড়া দিচ্ছে।’
ইভিএমের ওপর আস্থা কম থাকায় ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘জনগণ ইভিএম-এর ওপর কোনো আস্থা রাখতে পারছে না। তারা ভাবছে এটা দিয়ে কোনো লাভ হবে না। ভোটারদের উপস্থিতি দেখে আমি মোটেও সন্তুষ্ট নই। সাড়ে ১০টার মধ্যে মাত্র ১শ’র কম ভোট পড়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে নানা অভিযোগ আসছে, অনেককে ভোট দিতে বাধা দেয়া হচ্ছে। এরকম অভিযোগ আমার কাছেও আসছে।’
ইভিএম অনেক জটিল প্রক্রিয়া- এমন অভিযোগ করে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমার ভোটার নাম্বার বের করতে আধাঘণ্টা সময় লেগেছে। দিতে লেগেছে ১০ মিনিট। এটা একট জটিল প্রক্রিয়া। আমার আধাঘণ্টা সময় লেগেছে, অন্য ভোটাররা ধৈর্য ধরে ভোট দিতে পারবে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। আড়াই ঘণ্টার মধ্যে মাত্র একশ”রও কম ভোট পড়েছে। ১০টা থেকেই সব সময় ভোটারদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এখানে সেটি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।’
নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে ২ হাজার ৬শ’ ভোটারের মধ্যে মাত্র একশ’রও কম ভোট পড়েছে। এটা থেকে বোঝা যাচ্ছে মানুষ ইভিএম-এর ওপর আস্থা রাখতে পারছে না।’
ইভিএমে জনগণের রায় প্রতিফলিত হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, এটা বোঝা যাবে পরে।