খবর৭১ঃ মুঘল সম্রাট আকবরের আমলের একটি সোনা দিয়ে লেখা কোরআন শরিফ উদ্ধার করা হয়েছে ভারতের রাজস্থানে। কোরআন শরিফটি বাংলাদেশে পাচার হচ্ছিলো বলে বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও খবরে বলা হয়।
রাজস্থান পুলিশ জানিয়েছে, ১৬ কোটি রুপি দামের এই কোরআন শরিফটি বাংলাদেশে পাচার করার চেষ্টা হচ্ছিল। তবে সেটি বাংলাদেশে কার কাছে পাচার করার চেষ্টা করা হচ্ছিল, তা জানতে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে জেরা করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে ১,০১৪ পাতার ওই কোরআনটি গত বছর ডাকাতি করে ছিনিয়ে নেয় তিন ব্যক্তি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে দু’জনকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আর বৃহস্পতিবার কুরআনসহ গ্রেফতার করা হয় তৃতীয় ব্যক্তিকে।
জয়পুর উত্তরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাজীব পাচার বিবিসি বাংলার অমিতাভ ভট্টশালীকে জানান, গত বছর ভিলওয়ারা জেলার এক বাসিন্দা যোগেন্দ্র সিং মেহতা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন যে তার হেফাজতে থাকা একটি বহুমূল্য কুরআন কয়েকজন ব্যক্তি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে।
মেহতার পূর্বপুরুষেরা সম্রাট আকবরের কাছ থেকে দান হিসাবে ঐতিহাসিক মণ্ডলগড় কেল্লা পেয়েছিলেন। সেখানেই সোনার অক্ষরে লেখা ওই কুরআন শরিফটি তিনি পান। বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে তিনি সেটি বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
রাজীব পাচার আরও বলেন, কোরআনটি কেনার নাম করে ফাঁকা জায়গায় ডেকে নিয়ে গিয়ে সেটি ছিনতাই করা হয়। ওই ঘটনার পরে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু কোরান শরিফটি তখন পাওয়া যায়নি।
কয়েকদিন আগে সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পারে যে একটি বহুমূল্য কোরআন কেউ বিক্রি করার চেষ্টা করছে।
বিশেষ তদন্ত দল তৈরি করে পুলিশই ক্রেতা সেজে যোগাযোগ করে ভাঁওয়ারি মীনা নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। বৃহস্পতিবার সে ওই কুরআনটি ক্রেতা রূপী পুলিশের কাছে বিক্রি করতে এলে হাতেনাতে তাকে ধরা হয়।
রাজীব পাচার জানান, জেরা করতেই ভাঁওয়ারী মীনা জানায় যে সেটি বাংলাদেশে ১৬ কোটি রুপিতে বিক্রি করার চেষ্টা করছিল সে। তবে সেদেশে কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, সেটা এখনও বলেনি।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আগেই গ্রেপ্তার হওয়া তার দুই সাথীকেও জেল থেকে নিয়ে এসে এক সঙ্গে বসিয়ে জেরা করা হবে। বিবিসি।