ছাতকে বিদ্যালয়ের পাশে আঞ্চলিক মহাসড়ক; দূর্ঘটনার ঝুঁকিতে শিশুরা

0
613
ছাতকে বিদ্যালয়ের পাশে আঞ্চলিক মহাসড়ক
ছবিঃ হাবিবুর রহমান নাসির, ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।

খবর৭১ঃ

হাবিবুর রহমান নাসির, ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ছাতকের শ্রীকৃষ্ণপুর দিলালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে সিলেট-লামাটুকের বাজার আঞ্চলিক় মহাসড়ক।কিন্তু বিদ্যালয়ের চারপাশে সীমানা প্রাচীর নেই। এ কারণে বিদ্যালযে়র মাঠে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার সময় বল সড়কে চলে যায়।

শিক্ষার্থীরা বলের জন্য সড়কে যায়। এতে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টি ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে তিন জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। বিদ্যালয়টিতে প্রায় দুইশত জন শিক্ষার্থী লেখা-পডা করে ও এটি সমাপনী পরীক্ষার কেন্দ্র।সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, আঞ্চলিক মহাসড়ক ঘেঁষা বিদ্যালয়টির খেলার মাঠ পেরিয়ে় ফুটবল ও ক্রিকেটের বল আঞ্চলিক মহাসড়কের অন্য পাশে চলে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যানবাহন উপেক্ষা করে বল আনতে সড়ক পার হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী সড়কের ওপারের দোকানে জিনিসপত্র কিনতে যাচ্ছে।এতে যেকোন সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা।পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী জাকারিয়া আহমদ বলে, খেলতে গিয়ে় অনেক সময় ফুটবল আনতে রাস্তার ওপাশে যেতেই হয়। স্কুলের সীমানা দেয়াল থাকলে সহজে বল আর রাস্তায় যেত না।বিদ্যালযে়র সহকারী শিক্ষক মো: জুয়েল আহমেদ বলেন, বিদ্যালযে়র ভবনটি আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে হওয়ায রাস্তাটি় শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

বিদ্যালযে়র সীমানা প্রাচীর না থাকায় বাচ্চাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। বাচ্চারা সুযোগ পেলেই রাস্তার ওপারে চলে যায়। এ রাস্তায় সব ধরনের যান চলাচল করে। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।বিদ্যালযে়র দপ্তরি কাম-প্রহরী মোহাম্মদ আলী জানান, যে সময়ে ক্লাস থাকে না, তখন শিক্ষার্থীদের চোখে চোখে রাখতে হয়। এ কারণে ওই সময় তিনি অন্য কোনো কাজ করতে পারেন না।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পাহারায় থাকার পরও শিক্ষার্থীরা অনেক সময় ক্লাসের ফাঁকে দৌডে় ঝুঁকি নিযে় মহাসড়কের ওপারে দোকানে চলে যায়।

এ ছাড়া বিদ্যালযে়র মাঠ নিচু হওয়ায় বর্ষাকালে পানি জমে যায়। সমস্যাগুলো উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র দাশ জানান, সব বিদ্যালয়ের চাহিদাপত্র এবং তথ্যাদি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা নিয়মিত আপডেট তথ্য প্রেরণ করছি। তিনি আরও বলেন, গত অর্থ বছরে বেশ কিছু বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে এ বিদ্যালয়েরও বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here