খবর৭১ঃ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) প্রত্যাহার এবং জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (এনপিআর), জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) মতো প্রক্রিয়া চালু না করার দাবিতে বিধানসভায় প্রস্তাব পাস করেছে মমতার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। এর আগে, কেরালা, পাঞ্জাব, রাজস্থানে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাস হয়।
সোমবার দুপুরের পর রাজ্য বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পেশ রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বাম ও কংগ্রেস বিধায়করা এই প্রস্তাবে সংশোধনী আনার পক্ষে ভোটাভুটিতে না গেলেও বিরোধিতা করেছে বিজেপি।
শেষে কণ্ঠভোটে এই প্রস্তাব পাস হয়।এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, আমাদের রাজ্যে সিএএ, এনআরসি আর এনপিআর করার অনুমতি দেব না। মানুষ আতঙ্কে আছেন।
সব ধরনের নথির জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে হয়রানি হচ্ছেন।
শুধু সংখ্যালঘুদের জন্য এ লড়াই নয় জানিয়ে মমতা আরও বলেন, ‘এই লড়াই শুধু সংখ্যালঘুদের না। আমার হিন্দু ভাই-বোনেদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, তারা সামনে থেকে এই লড়াইটা লড়ছেন। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন তিনি।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে নাগরিকত্ব আইনের দ্বারা কোনো নাগরিকের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না।
কিন্তু এই আইনে তার কোনো উল্লেখ নেই। যা নাগরিকদের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করছে। তাই রাজ্যে সরকারের মাধ্যমে কেন্দ্র সরকারের কাছে দাবি জানানো হচ্ছে যে, সিএএ বাতিল এবং এনপিআর, এনআরসি প্রত্যাহারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, সিএএ-র সাহায্যে কেন্দ্রের শাসক দল ধর্মের নামে দেশের মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে। মানবাধিকারকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের প্রতিটি রাজ্যে চরম অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় নাগরিক পঞ্জির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করেছিল রাজ্য বিধানসভা। সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, এনআরসি-র তৈরির নামে বৈধ ভারতীয় নাগরিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। এ রাজ্যে কোনো ভাবেই এনআরসি চালু করা যাবে না, সেই প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছিল।