খবর৭১ঃ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারে হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার রাতে এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব।
সরকারের মদদে ইশরাকের নির্বাচনী প্রচারে সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলা হয়েছে অভিযোগ করে বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, এ ঘটনায় ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি নির্বাচনের পরিবেশ কেমন হবে- সেটি সহজেই উপলব্ধি করা যাচ্ছে। ঢাকা সিটি নির্বাচনে দিনকে দিন ধানের শীষের গণজোয়ার লক্ষ্য করে দিশেহারা হয়ে এখন সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণ করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী সরকারের হাতে নিহত গণতন্ত্রকে সমাহিত করা হচ্ছে। গণতন্ত্রের তিরোধান ঘটিয়ে গায়ের জোরে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে বর্তমান জনবিচ্ছিন্ন সরকার অতীতের মতোই ঢাকা সিটি নির্বাচনেও জনগণকে ভয়ভীতি দেখাতে সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। যাতে ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা না যায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইশরাক হেসেনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রচারণায় সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলা পরিকল্পিত। সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে নিস্তার পাচ্ছেন না নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে দায়িত্বরত সাংবাদিকরাও। সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও রক্তাক্ত করছে। মূলত দেশ এখন পরিচালিত হচ্ছে হানাদার রক্তপিপাসুদের দ্বারা। এদের কাছে ভোট, নির্বাচন ও জনমত মূল্যহীন।
প্রসঙ্গত, রোববার সকালে মতিঝিল থেকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন জনসংযোগ শুরু করেন। দিলকুশা-ইত্তেফাক মোড় হয়ে টিকাটুলি আসার পর সেখানে একটি নির্মাণাধীন ভবনের নীচে নৌকার প্রতীক প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের সমর্থকদের সঙ্গে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। মুহূর্তেই লাঠিসোটা নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়াপাল্টা-ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গাড়ি ভাংচুর শুরু হয়। শোনা যায় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দও। ২৫ মিনিট পর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় গণমাধ্যমকর্মীসহ দুই দলের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।