খবর৭১ঃ যেসব সংসদ সদস্য সংসদ সদস্য ভবনে তাদের জন্য বরাদ্দ করা ফ্ল্যাটে থাকেন না, তাদের চিহ্নিত করে ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিলের সুপারিশ করেছে জাতীয় সংসদের সংসদ কমিটি। একইসঙ্গে সংসদ সদস্য ভবনের নিরাপত্তা জোরদার করতে গেটগুলোতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু ও সব ভবন সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার সুপারিশ করে এ কমিটি।রোববার জাতীয় সংসদের সংসদ কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, কাজী ফিরোজ রশীদ, নূর মোহাম্মদ, শওকত হাচানুর রহমান (রিমন), মো. হারুনুর রশিদ, বিশেষ আমন্ত্রণে সংসদ সদস্য ভবন ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক মো. সাইফুজ্জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক বেগম নাহিদ ইজাহার খান ও যুগ্ম আহ্বায়ক বেগম নার্গিস রহমান অংশ নেন।
বৈঠকে সংসদ সদস্য ভবন ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠকের সুপারিশ নিয়ে আলোচনা হয়। সুপারিশের আলোকে যেসব ফ্ল্যাটে সংসদ সদস্যরা বসবাস করেন, তাদের জন্য কাঠের বক্স খাট, ওয়ারড্রোব, কিচেন কেবিনেট, সোফা, টেবিল, ফ্রিজ ও টিভি সরবরাহ করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া সদস্য ভবনের ক্যান্টিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি খাবারের মান উন্নত করা এবং ক্যান্টিনের পাশে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও লন্ড্রি স্থাপনের সুপারিশ করা হয়। পাশাপাশি দেয়ালে লিফলেট ও পোস্টার না লাগানোর এবং সদস্য ভবনের ওপর থেকে জানালা দিয়ে ময়লা না ফেলার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সংসদ সদস্যদের জন্য বরাদ্দ করা অফিসের ফার্নিচার সরবরাহ নিয়ে আলোচনা করা হয়। যেসব সংসদ সদস্য আদৌ অফিসে বসেন না, তাদের জন্য অফিস ফার্নিচার সরবরাহ না করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও সংসদ ভবন ও সংসদ সদস্য ভবন এলাকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় এবং সংসদ এলাকা থেকে সকাল ৮টার আগে ময়লা অপসারণ করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।
এছাড়াও সংসদ সদস্য ভবনে নিরাপত্তার জন্য অভ্যর্থনাকারীদের বসার ও ওয়াশ রুমের ব্যবস্থা করার, সদস্য ভবন কম্পাউন্ডে দুটো ওয়েটিং রুম নির্মাণ, কম্পাউন্ডে পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা এবং সংসদ ভবনের আসাদ গেটসংলগ্ন বন্ধ তালুকদার পেট্রলপাম্পটি পুনরায় দ্রুত চালুর উদ্যোগ নিতে সংসদ সচিবালয়কে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয় এবং লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাব এবং ৫০ শতাংশ গণপূর্ত স্পোর্টস ক্লাবকে দেয়ার সুপারিশ করা হয়।