করোনা: ২৮ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আহ্বান

0
645
করোনা: ২৮ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আহ্বান

খবর৭১ঃ চীনে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হতে দেশবাসীকে পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক।

রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনা ভাইরাসে নিয়ে বাংলাদেশের জরুরি সতর্কতা গ্রহণ করা প্রসঙ্গে আয়োজিত এক জরুরি সভায় তিনি এই পরামর্শ দেন।

বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে আগামী ২৮ জানুয়ারি একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় জরুরি সভা ডেকেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় চীন দেশে সম্প্রতি ধরা পড়া করোনা ভাইরাসের ব্যাপকতা নিয়ে আলোচনা হয়। রোগটি বর্তমানে কতটি দেশে পৌঁছে গেছে এবং কতজন আক্রান্ত ও মারা গেছেন সে বিষয়ে মন্ত্রী খোঁজ নেন। দেশের প্রতিটি বিমান-বন্দর, নৌ-বন্দরসমূহ, স্থল বন্দরসমূহে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অবগত করেন।

সভায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় জরুরি সভা করার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অবহিত করলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে সহমত ব্যক্ত করে আগামী ২৮ জানুয়ারি বেলা ১২ টায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আয়োজনের নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর জানান, নোবেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ ধরা নাও পড়তে পারে। চীনে বহুসংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন। তারা সবাই এখন ফিরতে গিয়ে এই ভাইরাসের জীবাণু বহন করে দেশে নিয়ে এলে তা আমাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। তাই সাময়িক সময়ের জন্য বাংলাদেশ থেকে চীনে যাতায়াত ব্যবস্থা স্থগিত করার উদ্যোগ নেয়ার ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।

চীনে যাওয়া আসার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীন-বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক গভীর। দেশর বহুসংখ্যক মানুষ বাণিজ্যিককারনে চীনে যাতায়াত করছে। তাই এই ভয়াবহ ভাইরাস বাংলাদেশে যেকোনো উপায়ে চলে এলে এটি আমাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই আগামী ২৮ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে চীনে ও চীন থেকে বাংলাদেশে সকল ধরনের ভ্রমণ সাময়িকভাবে স্থগিত করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here