খবর৭১ঃ বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা খুবই খারাপ বলে জানিয়েছেন তার বোন সেলিমা ইসলাম। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে বিশেষ আবেদনের কথা ভাবছি আমরা।
শুক্রবার বিকেলে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তার সেজো বোন সেলিমা ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সেলিমা ইসলাম বলেন, তার অবস্থা তো খুবই খারাপ। সে শুধু বমি করছে। গায়ে জ্বর আছে। শরীরের ব্যথায় কাতরাচ্ছে। বাম হাতটা সম্পূর্ণ বেঁকে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য কোথাও নিতে হবে। এ হাসপাতালে তার চিকিৎসা সম্ভব না। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে কেমন দেখছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিমা ইসলাম বলেন, তারা যে চিকিৎসা দিচ্ছেন এতে কোন কাজ হচ্ছে না।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আবেদন করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখনো কোনো আবেদন করিনি। তার যে অবস্থা তাতে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে হবে। শরীর তো খুবই খারাপ। সে তো ব্যথায় কাতরাচ্ছে, তার ডায়াবেটিকস আজকেও ১৫-তে। এভাবে কতদিন চলবে? এ হাসপাতালে তো ১ বছরের কাছাকাছি সময় রয়েছে, তার শরীরে কোন উন্নতি হচ্ছে না বরং দিন দিন অবনতি হচ্ছে। এজন্য আমরা চাই তাকে উন্নত হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সরকার আইনের কথা বলছেন এই ক্ষেত্রে পরিবারের পক্ষ থেকে বিশেষ কোনো আবেদন করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ভাবছি, আমরা আবেদন করবো। তবে এটা এখনো ঠিক করিনি। কারণ তার শরীরে যে অবস্থা, এই অবস্থায় বেশি দিন থাকলে তাকে জীবিত বাসায় নিয়ে যেতে পারবো না।
নির্বাচনের বিষয়ে কোনো বার্তা দিয়েছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সে তো কথাই বলতে পারছে না। তবে দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছে।
এর আগে বিকাল ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে প্রবেশ করেন পরিবারের সদস্যরা। সঙ্গে নিয়ে যান বাসায় রান্না করা খাবার ও কিছু ফলমূল।পরিবারের বরাত দিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, পরিবারের সদস্যরা হলেন, বেগম খালেদা জিয়া বোন সেলিমা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ও ছেলে অভিক ইস্কান্দার, সাইদ ইস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন ইস্কান্দার। আরাফাত রহমান কোকোর শাশুড়ি ফাতেমা রেজা হাসপাতলে আসলেও সাক্ষাৎকারের তালিকায় তার নাম না থাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।