খবর৭১ঃ ঢাকা সিটি নির্বাচনে প্রচারের শেষ দিকে এসে বিএনপি মনোনীত মেয়র ও সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষে ২০ দলীয় জোট নেতারা মাঠে নামবেন বলে জানিয়েছেন জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকের পর তিনি সংবাদ সম্মেলন করে একথা জানান।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে মিরপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীর নেতৃত্বে তার ওপরে হামলা করেছে। ওই ঘটনায় মামলা করতে চাইলে দুদিনেও মামলা নেওয়া হয়নি। ২০ দল এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘২০ দল মনে করে আসন্ন সিটি নির্বাচন শুধু মেয়র আর কাউন্সিলর নির্বাচিত করার ভোট নয়। এই নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র মুক্তি ও খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের অংশ।
বৈঠকে গত দুই দিনে বিএসএফ কর্তৃক পাঁচজন বাংলাদেশি হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানানো হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকারের প্রতিবাদের ভাষা যথেষ্ট শক্ত না হওয়ায় সীমান্তে হত্যার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কল্যাণপার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম এর সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, জাগপার লুৎফর রহমান, লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, খেলাফত মজলিসের আহমেদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদেকী, এনডিপির ক্বারী আবু তাহের, ডিএল এর সাইফুদ্দিন মনি, ন্যাপ ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা আবদুল করিম, সাম্যবাদী দলের কমরেড ডা. সৈয়দ নুরুল ইসলাম, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন। তবে জোট শরিক জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রতিনিধি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা সিটি নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ না নিলেও স্থানীয় নেতারা আমাদের প্রার্থীদের সঙ্গে আছেন।’