খবর৭১ঃ
আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ ১৮টি কেন্দ্র রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠকে বসেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। বুধবার এই বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, গোয়েন্দাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে মোট ১৮টি কেন্দ্র শুধু ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া তাদের কাছে এ ধরনের রিপোর্ট নাই যে এখানে খারাপ কিছু হতে পারে। একই সাথে ভবিষ্যতে এমন কিছু হতে পারে তার রিপোর্টও তাদের কাছে নেই। সব সময়ই তারা সতর্ক আছেন, কোন সমস্যা থাকলে তারা ব্যবস্থা নেবেন।
ইসির সিনিয়র সচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪০ হাজার সদস্য ভোটে মাঠে থাকবে। কেন্দ্রভিত্তক সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবে। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে র্যাব, বিজিবি থাকবে। কেন্দ্রে সংখ্যা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীগুলোর প্রধান এবং প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে কিভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে সেটি কমিশনের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়েছে। তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীগুলোর দায়িত্বগুলো তুলে ধরা হয়েছে। তারা বলেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় যা যা করণীয় সে ব্যাপারে তারা সচেতন আছেন। এ ব্যাপারে তারাও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি কিছু প্রস্তুাব দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তারা আমাদের সবগুলো প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। তবে ভোটারদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে চলাচলের বিষয়ে যে প্রস্তাব ছিলো সেটির বিষয়ে তারা বলেছে ঢাকায় ২ থেকে ৩ লাখ ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবে বিধায় তারা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। ফলে যারা নির্বাচনের যারা দায়িত্ব পালন করবেন তাদের সমস্যা হবে এবং যারা বিভিন্ন স্থান থেকে চলাচল করবে তাদেরও সমস্যা হবে। এটিতে তারা দ্বিমত পোষণ করেছেন। কমিশন সেটা মেনে নিয়েছে।
নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। এক্ষেত্রে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৫ নাম্বার নিয়ে ভোটের কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা হয়ত শতভাগ করতে পারিনি, উত্তরের যে অভিযোগটি এসেছে সেটার ক্ষেত্রেও সাথে সাথে নির্বাচন কমিশন রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছে, এবং তিনি সাথে সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ওসিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর একটিও না ঘটে।
নির্বাচনের দুইদিন আগে আরো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। এখন পরিস্থিতি যা আছে তা তো থাকবেই আশা করি আরো ভালো হবে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও সে সময় মাঠে থাকবে।
ইসির পক্ষ থেকে বৈঠকে ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম এবং অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান।
আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বৈঠকে ছিলেন মহাপুলিশ পরিদর্শক, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/র্যাব/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআইয়ের মহাপরিচালক, বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক, ঢাকা জেলা প্রশাসক ও ঢাকার পুলিশ সুপার।
এ ছাড়াও ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন।