খবর৭১ঃ যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে শিগগিরই শুরু হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন বিচারের শুনানি।
বিরোধীদল ডেমোক্রেটিক ও ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান আইনজীবীদের যুক্তি-পাল্টাযুক্তি উপস্থাপনের মধ্যে মঙ্গলবার থেকে (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায়) শুরু হওয়ার কথা অভিশংসন লড়াই। এর মধ্যেই লিখিতভাবে ট্রাম্পের অপসারণ দাবি করেছেন ডেমোক্র্যাট নেতারা।
সোমবার সিনেটে একটি চিঠি জমা দেন তারা। চিঠিতে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
ট্রাম্পকে ক্ষমতায় রেখে দিলে আগামী দিনগুলোতে নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ চাইতে ভবিষ্যৎ নেতাদের উৎসাহিত করা হবে বলেও যুক্তি দেখান ডেমোক্র্যাটরা।
অন্যদিকে সোমবারই এর ঠিক বিপরীত বক্তব্যে ট্রাম্পের আইনজীবীরা তার বেকসুর খালাস চেয়েছেন। ট্রাম্প ভুল কিছু করেননি বলেই দাবি তাদের। ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পকে আরেকবার নির্বাচিত হতে না দেয়ার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তারা। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্পের অভিশংসন শুনানি।
সিনেটররা শুনানিতে প্রতিনিধি পরিষদের আইনজীবী এবং হোয়াইট হাউসের আইনজীবী উভয় পক্ষেরই বক্তব্য শুনবেন। শোনা হবে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যও। বিচার প্রক্রিয়া দেখানো হবে টেলিভিশনে।
শুনানির পর ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করা হবে কি না, তা নিয়ে ভোটাভুটির জন্য সিনেটররা পুরো একদিন সময় পাবেন। বিচার প্রক্রিয়া সপ্তাহে ছয়দিন করে চলবে (সোম থেকে শনিবার পর্যন্ত)।শুধু রোববার বাদ। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তা জানুয়ারির শেষনাগাদও চলতে পারে।
উদ্বোধনী যুক্তিতর্ক চলবে চারদিন। এ সময় ডেমোক্রেটিক হাউসের আইনপ্রণেতারা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তি দেবেন এবং প্রেসিডেন্টের আইনজীবীরা এর জবাব দেবেন।
১০০ আসনের সিনেটে ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরাতে গেলে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন হবে। কিন্তু সিনেটে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যা মাত্র ৪৭। আর রিপাবলিকানদের সংখ্যা ৫৩ হওয়ায় ট্রাম্প খালাস পাবেন, এটি স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে।
তবে যদি ব্যতিক্রমী কিছু ঘটে যায়, ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হয়ে যান, তাহলে সেক্ষেত্রে তার জায়গায় নতুন প্রেসিডেন্ট হতে পারেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স