ইবিতে দু’গ্রুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষঃ ছাত্রলীগ সম্পাদকসহ আহত ৩০

0
443
ইবিতে দু'গ্রুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
ছবিঃ সংগৃহীত

খবর৭১ঃ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ে (ইবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায়-দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টা ও দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক এলাকায় সভাপতি-সম্পাদক গ্রুপের সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রুপের দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সাধারণ সম্পাদক রাকিবসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলতে থাকে। প্রায় চার মাস পর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তার কর্মীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের খবরে সকাল থেকে দলীয় টেন্টে অবস্থান নেন বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা। অপরদিকে সভাপতি-সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরা প্রধান ফটক এলাকায় অবস্থান নেন। পরে বেলা ১১টায় টেন্ট থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ফটকের দিকে গেলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে চার জন আহত হন।

পরে বেলা ২টার দিকে ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম পলাশ বিশ্ববিদ্যালয় থানা গেট থেকে প্রধান ফটকের দিকে আসলে দ্বিতীয় দফা মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের হাতে লাঠি-সোটাসহ দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়। এ সময় তিনটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় প্রধান ফটক এলাকা। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সভাপতি-সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। এতে সাধারণ সম্পাদক রাকিব গুরুতর আহত হন। এছাড়াও উভয় গ্রুপের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের প্রক্টরিয়াল বডির সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে এবং কয়েকজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

পরে বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে। কিন্তু আধা ঘন্টা পর যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে মহাসড়ক অবরোধ তুলে নিয়ে প্রধান ফটকে অবস্থান নেন বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর আনিচুর রহমান বলেন, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী সকাল থেকে প্রধান ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন ছিল। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ বলেন, সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি। একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here