খবর৭১ঃ বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার আসামি আয়শা সিদ্দিকার করা আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আবেদনে আয়শা আসামি থেকে নিজের নাম বাতিল চান। আয়শা রিফাত শরীফের স্ত্রী। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার আবেদনটি খারিজ করে দেন।
আবেদনটি ফিরিয়ে নিতে আয়শার আইনজীবীর আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন। আদালতে আয়শা সিদ্দিকার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফ আর খান।
পরে মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, চলতি সপ্তাহে রিফাত শরীফ হত্যা মামলাটি নিজের ক্ষেত্রে বাতিল চেয়ে আবেদন করেন আয়শা সিদ্দিকা। এরপর জানা যায়, ইতিমধ্যে ওই মামলায় সাক্ষ্য শুরু হয়ে গেছে। তাই আবেদনটি না চালানোর কথা বলে ফেরত চাওয়া হয়। আদালত আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দিয়েছেন। বরগুনার জেলা দায়রা জজ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন। এই আদালত থেকে অন্য আদালতে মামলাটি বদলের জন্য উচ্চ আদালতে শিগগির আবেদন করা হবে বলে জানান আইনজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফ আর খান সাংবাদিকদের বলেন, ওই মামলায় ৭৫ জন সাক্ষী রয়েছেন। ইতিমধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে তাঁর স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকার সামনে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। এরপর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর ওই দিন বিকেলে মারা যান রিফাত শরীফ। পরদিন ২৭ জুন নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে মামলার অন্যতম আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। গত ১ সেপ্টেম্বর আলোচিত এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে প্রধান সাক্ষী নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকাসহ ২৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রে আয়শাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ আনে পুলিশ। আয়শা সিদ্দিকাকে গ্রেপ্তার করা হলেও বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন।