খবর৭১ঃ শুরু হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া। মঙ্গলবার এই মামলার ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার মধ্য দিয়ে এই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ সময় আগামী ৩০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস এ দিন ধার্য করেন। এ উপলক্ষে কারাগার থেকে গ্রেফতারকৃত ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে গত ১২ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়সারুল ইসলাম মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। একই দিন বদলি আদালতে মামলাটি স্থানান্তর করা হয়। পরে বুধবার অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য করে আদালত।
গত বছরের ১৩ নভেম্বর বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান। পরে ১৮ নভেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এরপর চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি পলাতক আসামিদের হাজির হওয়ার ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের আগের দিন মোর্শেদ অমত্য ইসলাম নামে এক পলাতক আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠায়।
জানা যায়, মামলায় অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এজাহার বহির্ভূত ৬ জন রয়েছেন। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৮ জন এরই মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তার লাশ শেরে বাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোরে ফেলে রাখা হয়। সেখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। ওই ঘটনায় নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।