খবর৭১ঃ গত প্রায় ৯ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী বেকারত্বের হার স্থিতিশীল থাকলেও চলতি বছর তা বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। আইএলও প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক : ট্রেন্ডস ২০২০’ শীর্ষক ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী বেকারত্ব ২৫ লাখ বাড়তে পারে।
বিশ্বব্যাপী শ্রমশক্তি বাড়লেও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নতুন কর্মসংস্থান বাড়ছে না। প্রতিবেদনে বলা হয়, যথাযথ মজুরি না পেয়ে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০ কোটি শ্রমিক সামান্য মজুরিতেই কাজ করছে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে বিশ্বব্যাপী একযোগে আজ প্রতিবেদনটি প্রকাশ হচ্ছে।
প্রতিবেদনে এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের বিষয়ে বলা হয়, শোভন কাজের যথাযথ ক্ষেত্রে তৈরি না হওয়া এবং যথাযথ অন্তর্ভুক্তির ঘাটতির কারণে কাজের পরিবেশের উন্নয়ন করা কঠিন হয়ে পড়ছে। ফলে এসব অঞ্চলে দারিদ্র্য কমানোও কঠিন হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রমিকের সরবরাহ ও চাহিদার অসামঞ্জস্যতার কারণে বেকারত্ব বাড়ছে। একই সঙ্গে শ্রমশক্তিকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৯ কোটি লোক কর্মহীন। এছাড়া সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ কাজের যথাযথ পারিশ্রমিক পাচ্ছে না, আর ১২ কোটি মানুষ কাজে প্রবেশের চেষ্টা করছে। সবমিলিয়ে কাজের যথাযথ সুযোগ না থাকায় বিশ্বব্যাপী ৪৭ কোটি মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রমবাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে নারী ও অপেক্ষাকৃত তরুণরা অতিরিক্ত বাধার মুখে পড়েন। এছাড়া বিশ্বব্যাপী শ্রম আয়ের ক্ষেত্রে আগের প্রাক্কলনের চাইতে বৈষম্য বাড়ছে। আইএলওর মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের জন্য কাজের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান বাড়ানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ঢাকায় আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পুটিআইনেন বলেন, মানুষের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিনিয়োগ বাড়ানো দরকার। বিশেষত শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়ে বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন।