খবর৭১ঃ হামলার ২২ দিন পর নিজ কার্যালয়ে গিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর। তবে মঙ্গলবারও কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেননি তিনি।
আজ চাবি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে তা দিতে পারেননি হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ডাকসু ভবনের চাবি বুঝিয়ে দেবেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, হামলার দীর্ঘ ২২ দিন পার হয়ে গেলেও আমাকে কার্যালয়ে প্রবেশের চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। গত ৬ তারিখ উপাচার্যের কাছে গেলেও তিনি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। এরপর ১২ তারিখ দুজনের কাছে গেলে আবারও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। তবে বিকাল ৪টায় দেলোয়ার স্যার আমাকে ডাকসুতে আসতে বলেন। দীর্ঘ ২ ঘণ্টা আমি সেখানে অপেক্ষা করলেও তিনি পারিবারিক ব্যস্ততার কারণে আসতে পারবেন না বলে জানান।
ভিপি বলেন, তদন্তের স্বার্থে প্রশাসন ও তদন্ত কমিটি কিছু দিন রুম জব্দ করতে পারে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে রুম সিলগালা করে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধির বিষয়ে উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে।
গত ২২ ডিসেম্বর দুপুরে ডাকসু ভবনের নিজ কক্ষে নুরুলের ওপর হামলা চালান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীরা। এ সময় নুরুলের সঙ্গে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কয়েকটি কলেজের কয়েকজন ছাত্রসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।
ওই দিনের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির আহবায়ক ছাড়া অন্য সদস্যরা হলেন- শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট সুপ্রিয়া সাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য অসীম সরকার, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রভোস্ট মো. মহিউদ্দিন, সিন্ডিকেট সদস্য মিজানুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ মাঈনুল করিম।