পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া বিশেষ আদালতকে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেছেন লাহোর হাইকোর্ট। তাছাড়া মোশাররফকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া রায়ের বৈধতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আদালত। বিশেষ আদালতের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মোশাররফের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার লাহোর হাইকোর্ট এই রায় দিলো।
তিনজন বিচারককে নিয়ে গঠিত লাহোর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ মোশাররফের আবেদনের শুনানির পর সোমবার ঘোষণা করে, সাবেক রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলাটি আইন মেনে প্রস্তুত করা হয়নি।
ফেডারেল সরকার এবং মোশাররফের আইনজীবী উভয়ের মতে, হাইকোর্টের এই রায়ের পর, মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে বিশেষ আদালতের রায়টি বাতিল হয়ে যাবে।
তবে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিলের ব্যাপারে আদালত কিছু না বললেও এ ব্যাপারে একটি সংক্ষিপ্ত আদেশ শীঘ্রই প্রকাশ করার কথা রয়েছে।
১৯৯৯ সালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অপসারণ করে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান শাসন করেন মোশাররফ। গত ২০১৩ সালে দেশটির সাবেক এই স্বৈরশাসককে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। ছয় বছর শুনানির ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর মোশাররফকে অভিযুক্ত করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় বিশেষ আদালত। দেশটির ইতিহাসে এই প্রথম কোন বেসামরিক আদালতে দেশদ্রোহের অভিযোগে কোনো সামরিক কর্মকর্তার বিচার হলো। এই আদালতকেই সোমবার অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে লাহোর হাইকোর্ট।