খবর৭১ঃ ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারণায় সংসদ সদস্যদের (এমপি) অংশ নিতে আইনি বাধাকে দুঃখজনক বলে মনে করছে ১৪ দল। তাদের ভাষ্য, এই বিধানে নাগরিক অধিকার খর্ব হয়েছে। এই বিধানটি সংসদে পরিবর্তন করা দরকার।
শনিবার আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের ধানমন্ডির বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়। এর আগে ১৪ দলের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্যরা সিটি নির্বাচনে প্রচার চালাতে পারবেন না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
‘একজন কাউন্সিলর প্রার্থী যিনি সংসদ নির্বাচনের সময় এমপির পক্ষে কাজ করেছেন, সেই এমপি এখন কাউন্সিলরকে রিটার্ন দিতে পারবেন না; এটা হয় না। এই বিধানে নাগরিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে।’
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সমর্থনে কয়েকটি জনসভা করা হবে বলেও জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা আমু।
তিনি বলেন, ‘সাবেক এমপিরা প্রচার চালাতে পারলে বর্তমান এমপিরা পারবেন না কেন? এটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হলো কীভাবে? এই আইন বাতিল করার ব্যাপারে বিবেচনা করা উচিত। স্থানীয় নির্বাচন হলেও এটাকে অরাজনৈতিক নির্বাচন বলার সুযোগ নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে আ.লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য বলেন, ‘বিএনপি পরাজয় ধরে নিয়েই নির্বাচন করছে। তারা ভোটগ্রহণ চলাকালে নির্বাচন বর্জন করে। তাই তারা আগে থেকেই ফিল্ড তৈরি করে রাখার জন্য নানা কথা বলছে।’
নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী এমপিরা প্রচারে যেতে পারবেন না বলে ইসি থেকে যে কথা বলা হচ্ছে সেটি দুঃখজনক মন্তব্য করে ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এটা বলায় আমরা দুঃখ পেয়েছি। আমরা মনে করি, সংসদে এই আইনটি পরিবর্তন করা দরকার।’
‘বিএনপির নেতারা টপ টু বটম নির্বাচনি প্রচারে নামতে পারবেন, আমরা পারবো না, এটা দুঃখজনক। তারপরও যেহেতু নির্বাচন কমিশনের আইন আছে, আমরা সেটা মেনে চলছি।’
ঢাকা সিটি নির্বাচনকে ১৪ দল চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির লড়াই। এই নির্বাচন আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। বাঙালি জাতি স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির সঙ্গে আপস করতে পারে না।’
নির্বাচনে বিজয়ের জন্য মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ঘরে ঘরে যেতে হবে, ভোট চাইতে হবে। আমাদের ভুলত্রুটি থাকতে পারে, কিন্তু প্রার্থীরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের জন্য তাদের নির্বাচিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৪ দলের শক্তি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। তাই ১৪ দল ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী করতে হবে।’
এসময় জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।