খবর৭১ঃ দেশের সব উপকূলীয় অঞ্চল ও হোটেল-মোটেল-রেস্টুরেন্টে আগামী ১ বছরের মধ্যে ওয়ানটাইম প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ও সাঈদ আহমেদ কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবির বলেন, ‘বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুসারে পলিথিন নিষিদ্ধ করার বিধান রয়েছে। ২০০২ সালে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনও রয়েছে। কিন্তু প্লাস্টিকের বিভিন্ন সামগ্রী যেমন- কটন বার্ড, প্লাস্টিক বোতল, প্লেট, ব্যাগ ও ফুড প্যাকেজিংয়ের ব্যবহার দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। দেশের ৫৪টি নদী ও উপকূলীয় অঞ্চল থেকে প্লাস্টিক বর্জ্যগুলো বঙ্গোপসাগরে ফেলছে। এতে পানি, মৎস্য ও সামুদ্রিক প্রাণীর মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
পরে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতিসহ (বেলা) ১১টি সংগঠন একটি রিট পিটিশন দায়ের করি এবং রিটে বিভিন্ন গবেষণাপত্র ও বিভিন্ন দেশের প্লাস্টিক রোধের কার্যকর ব্যবস্থাগুলো আদালতে তুলে ধরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই রিটের শুনানি নিয়ে প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবহার বন্ধ রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ ছাড়াও আগামী ১ বছরের মধ্যে দেশের সমস্ত উপকূলীয় অঞ্চল ও হোটেল-মোটেল-রেস্টুরেন্টে ওয়ানটাইম প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া আগামী ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি প্লাস্টিক বন্ধের ব্যাপারে কি কি কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে সম্পর্কে বিবাদীদের জানাতে বলা হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয় সচিব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সচিব, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব, বাংলাদেশ প্লাস্টিক প্রোডাক্ট প্রডিউসার অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানসহ আটজন বিবাদীকে ওই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’