খবর৭১ঃ দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে দেয়া সাজা বহাল রেখে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।
১৫৯ পৃষ্ঠার এই রায় সুপ্রিমকোর্টের ওয়েসবাইটে প্রকাশিত হয়েছে বলে সোমবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। এখন বিচারিক আদালতে এ রায় রিসিভের তিন মাসের মধ্যে তাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে।
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনকে বিচারিক আদালতের দেয়া ১৩ বছর এবং তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে তিন বছরের দণ্ডসহ অর্থদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে তাদের করা আপিল খারিজ করে বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
১৯ নভেম্বর খুরশীদ আলম খান জানিয়েছিলেন, দীর্ঘ ৪০ দিনের মতো আপিল শুনানি হয়েছে। তাদের আপিল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তিনি বলেন, তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের তিন বছরের সাজা এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদের অভিযোগে ১০ বছরের সাজা বহাল রয়েছে। তার ছেলে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে সহযোগিতার (অ্যাবেটমেন্ট) জন্য তিন বছরের সাজা বহাল রয়েছে। ফাইনসহ বিচারিক আদালতে যেভাবে রায় দিয়েছিল সেটা বহাল। এখন এ রায় বিশেষ জজ আদালত ঢাকা-২ যে দিন রিসিভ করবেন সেদিন থেকে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপিল করার সুযোগ রয়েছে। ওনাদের আপিল করতে হলেও আত্মসমর্পণ করতে হবে।
২০০৭ সালের ৬ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাছির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ একই বছরের ৪ জুলাই এক রায়ে মীর নাছির উদ্দিনকে আলাদা ধারায় তিন বছর ও ১০ বছরের দণ্ড দেন। একই সঙ্গে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে দুই বছরের দণ্ড দেন।
এ ছাড়া তার ছেলে মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকার অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাসের দণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আলাদা দু’টি আপিল করেন।