নির্বাচনকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছি: মির্জা ফখরুল

0
442
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের কড়া সমালোচনায় বিএনপি

খবর৭১ঃ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সিটি নির্বাচনের বিষয় অনেকেই প্রশ্ন করছেন বিগত নির্বাচনে এই অবস্থার পরেও আপনারা নির্বাচনে গেছেন কেন? আমরা বলেছি, নির্বাচনকে আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছি। আমরা একটি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি হিসেবে এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে যেতে চাই। আমাদের নির্বাচনে যেতে হবে ও নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা জনগণের কাছে যাব এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়েই এই সরকারকে আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরাজিত করবো। এটাই আমাদের কাজ, এ কাজটি আমরা করে যাচ্ছি।

শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবির মুরাদের স্মরণে আয়োজিত নাগরিক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জিয়া পরিষদ আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জিয়া পরিষদের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম সলিমুল্লাহ খান। বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ।

এসময় মির্জা ফখরুল আরও বলেন, অর্থনীতি একটি এম্পটি ভেসেল এর মধ্যে পড়ে গেছে। আওয়ামী লীগ বাইরে থেকে ঢোল বাজায় উন্নয়ন উন্নয়ন কিন্তু ভেতর একদম ফাঁকা। এই রাষ্ট্রকে পরিপূর্ণ ভাবে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আওয়ামী লীগ সব কাজ চূড়ান্ত করে ফেলেছে।

নাইকো দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্যায়ভাবে যাদেরকে এই মামলার সাথে যুক্ত করা হয়েছিল তারা সম্পূর্ণ নির্দোষ। মূল মামলা যেটা আন্তর্জাতিক আদালত হয়েছে, তা গোপন করে সরকার এ মামলা করেছে।

এ মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতে অলরেডি রায় হয়েছে। এই মামলায় বলা হয়েছে কোনো ধরনের কোনো রকম দুর্নীতি হয়নি। বেগম জিয়াকে নির্দোষ বলে সেখানে যে রায় দেওয়া হয়েছে এটা প্রকাশ করা না হয় এজন্য সরকার ইন্টারন্যাশনাল সেন্ট্রাল ফর সেটেলমেন্ট অফ ইনভেসমেন্টসকে চাপ দিয়েছে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এই মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতে যারা বিচারক ছিলেন তারা সবাই বিদেশি। শুনানির শেষে তারা বলেছেন বেগম খালেদা জিয়ার এখানে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই এবং এখানে যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের দুর্নীতির কোনো প্রমাণ তারা করতে পারেনি। এই ধরনের যতগুলো মামলা দেওয়া হয়েছে এই সবগুলো মামলায় মিথ্যা মামলা।

এসময় মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সরকার দীর্ঘ সময় ধরে বলে আসছে তারেক রহমান এ সকল দুর্নীতির সাথে জড়িত অথচ আজ পর্যন্ত তারা একটিরও প্রমাণ করতে পারেনি। এবং একটি মামলায় বিচারক তাকে নির্দোষ বলে রায় দেওয়ার কারণে ওই বিচারককে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ তার করায়ত্ত করে রেখেছে এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য ও সেটাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সরকার এই বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছে। আজকে বাংলাদেশ বলতে যে রাষ্ট্র এই রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, সবচেয়ে নিম্নমানের লোকজনকে রাজনৈতিক কারণে ভিসি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাস কোর্স, থার্ড ক্লাস পাওয়া লোকজনকে নিয়ে এসে ভাইস-চ্যান্সেলর বানানো হচ্ছে। একইভাবে এখন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়, বিসিএসে রিক্রুটমেন্ট করা হয়। এভাবে সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে তারা তাদের নিজেদের আয়ত্বে আনতে দলীয়করণ করছে। তারা সংবিধানকে ধ্বংস করেছে এবং বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ একটি একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত করার সকল আয়োজন করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here