খবর৭১ঃ ভারত থেকে গত দুই মাসে ৪৪৫ জন বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, গত একবছরে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে এমন মানুষের সংখ্যা ১ হাজার ১ জন। তার মধ্যে ভারতে এনআরসির পর বাংলাদেশে নভেম্বরে ৩১২ জন, ডিসেম্বরে ১৩৩ প্রবেশ করেছেন। এসব প্রবেশের ঘটনায় ২৫৩টি মামলা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ভারতীয় নয় বলে জানতে পেরেছি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে প্রেস বিফ্রিং করে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি ভারতের সিএএ ও এনআরসি নিয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে কোনও উদ্বেগ নেই বলেও মন্তব্য করেন।
বিজিবি প্রধান বলেন, ‘এনআরসি ও সিএএ নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো উদ্বেগ নেই। কেননা আমরা কখনোই অবৈধভাবে কাউকে প্রবেশ করতে দেবো না। অবৈধভাবে প্রবেশ করতে না দেয়াটাই আমাদের নিয়মিত কাজ। সুতরাং এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার মত কিছু নয়। এটা ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়।’
গত একবছরে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশের ঘটনায় ২৫৩ টি মামলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি তারা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। দুই এক বছরের মধ্যে কোনও এক সময় তারা ভারতে কর্মের খোঁজে গিয়েছিলেন। তারা ভারতীয় না। এনআরসির ফলে ভারতীয় নাগরিক প্রবেশ করবে। এটা হতে পারেনা। তাই এটা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই।’
অস্ত্রের দিক দিয়ে বিজিবি সীমান্তবর্তী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সমকক্ষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার। এই দীর্ঘ সীমান্তে আমাদের কোনও কাঁটাতারের বেড়া নেই। তবে মিয়ানমার সীমান্তে বসানোর একটা প্রক্রিয়া চলছে। আর শুধু মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকার জন্য আমরা আধুনিক ১৪টি অস্ত্র কেনার পরিকল্পনা করেছি এবং প্রক্রিয়া চলছে।’
বিজিবির চ্যালেঞ্জের প্রসঙ্গে বাহিনীটির প্রধান বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। আমাদের সীমান্তে ৬৩৭টি বিওপি রয়েছে। ইতোমধ্যে আরও ৭১টি বিওপি অনুমোদন পেয়েছে। আমরা চাই প্রতি ৫ কিলোমিটার পর পর বিওপি স্থাপন করতে। তাহলে আমাদের সীমান্তে আরও কঠোর নজরদারি রাখতে পারবো।’
সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি প্রধান জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী পরিবারের সদস্যদের ৪৮ ঘন্টা কিংবা ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত যাওয়া-আসার জন্য পাসপোর্ট ছাড়া লিখিত রেখে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায় কি-না তা নিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে।