খবর৭১ঃ নারায়ণগঞ্জে বছরের শুরুতেই একযোগে জেলার সাতটি থানার ৪৮ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলির আদেশ দিয়েছেন নাবগত জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম। এসব কর্মকর্তার মধ্যে একজন পরিদর্শক, ২২ জন এসআই ও এএসআই, বাকি ২৫ জন কনস্টেবল। একযোগে একসাথে এত সংখ্যক পুলিশ কর্মকর্তার বদলি ঘটনা জেলায় দ্বিতীয়বার ঘটলো। এদিকে বদলি নিয়ে এরই মধ্যে জেলা থানা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এর আগে সাত খুনের ঘটনায় ২০১৪ সালে ৮১ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে জেলার বাইরে বদলি করা হয়েছিল।
বদলির বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মুঠোফোনে এসপি জায়েদুল আলম জানান, বদলির ঘটনা একটি সমন্বয় মাত্র। এগুলো কোন শাস্তিমূলক বদলি নয়।
এটা বদলি রুটিন ওয়ার্ক। তিনি আরও জানান, দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন থানা এলাকার জনগণ অনুযায়ী পুলিশের সংখ্যা কম। আবার যেখানে বেশি পুলিশ যেখানে জনগণ কম। মূলত এগুলো সমন্বয় ঘটাতেই এই বদলি প্রক্রিয়া। কিছু কিছু থানায় অতিরিক্ত অফিসার রয়েছেন।
কিন্তু সে তুলনায় ডিবি, ডিএসবিতে লোক সংকট। তাই থানা থেকে লোক সরিয়ে এনে যেখানে সংকট রয়েছে সেখানকার ঘাটতি পূরণ করা হবে। এতে পুলিশি সেবায় একটি সমন্বয় ঘটানো যাবে।
বদলিকৃতদের মধ্যে আছেন সোনারগাঁও থানার ১৪, রূপগঞ্জ থানার ১৪, আড়াইহাজার থানার ৭, ফতুল্লা থানার ৭, বন্দর থানার ৩, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ২, সদর মডেল থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ জেলায় যোগদানের পাঁচ দিনের মাথায় পুলিশ সুপার এতো সংখ্যক কর্মকর্তাকে বদলি করায় থানার অন্য কর্মকর্তাদের মাঝে বদলি আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তবে জেলার পুলিশ অনেক কর্মকর্তার মতে, জেলা পুলিশকে ঢেলে সাজাতেই সদ্য যোগদনকারী এসপি এই বদলি প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।