খবর৭১ঃ তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আজ ৩০ ডিসেম্বর হচ্ছে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস। কারণ এক বছর আগে আজকে যদি নির্বাচন না হতো, তাহলে গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত হতো। বিএনপি, ঐক্যফ্রন্ট ও তাদের অন্য দোসররা চেয়েছিল গতবছর ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচন ভণ্ডুল করতে। অর্থাৎ তারা সেদিন গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চেয়েছিল।’
সোমবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘মাদ্রিদ জলবায়ু সম্মেলন পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতার পূর্বে ‘বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৩০ ডিসেম্বরকে গণতন্ত্র হত্যা, কালো দিবস পালন করছে’ এ বিষয়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচন ভণ্ডুল করার পাঁয়তারা সত্ত্বেও সমস্ত প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশের মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয় অর্জন করেছিল। সেজন্য আজকে হচ্ছে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) যে দিবসটি পালন করতে চাচ্ছে, আসলে প্রকারান্তরে তারা নিজের খোলসটাই উন্মোচন করে দিয়েছে। তারা যে গণতন্ত্র হত্যা করতে চেয়েছিল, সেটি তারা করতে পারছে না।’
এ সময় স্মিত হেসে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘গতকাল আমরা দেখেছি, তারা (ঐক্যফ্রন্ট) দেড়শ জনের বিশাল মিছিল নিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে। বিরাট ঐক্যফ্রন্ট অনেকগুলো দল- সবগুলো দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও সেখানে ছিলেন তাদের মিছিলে। আর সব মিলে শ দেড়েক মানুষ ছিল তাদের মিছিলে। তাদের প্রতি জনসমর্থন কোন জায়গায়, এতেই বোঝা যায়। বাংলাদেশের মিছিল কি দেড়শজনের হয়? সুতরাং এই লজ্জা ঢাকার জন্য তারা যে সমস্ত কথা বলছেন, সেগুলো অবান্তর কথাবার্তা।’
‘বাংলাদেশে প্রকৃতপক্ষে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তারা গণতন্ত্র হত্যা করতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন তারা যখন রাজনৈতিকভাবে আমাদেরকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে, তখন তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু এই সমস্ত ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না, কারণ দেশের মানুষ তাদের সাথে নাই।’
‘বিগত কয়েকদিন আগে প্রতিনিয়ত বিএনপি অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ হচ্ছে’ এবিষয়ে মন্তব্য চাইলে ড, হাছান বলেন, ‘আমরা অতীতেও দেখেছি, বিএনপি যখন কোনো সমাবেশ ডাকে, কিংবা কোনো আন্দোলনের ডাক দেয়, তখন তারা মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, বোমা নিক্ষেপ করেছে, নিজেরা নিজেরা মারামারি করেছে। এগুলো তাদের আভ্যন্তরীণ কোন্দল ছাড়া অন্য কিছু নয় বলে আমি মনে করি।