ঠাণ্ডাজনিত রোগে যেসব পানীয় বিশেষ উপকারী

0
649
ঠাণ্ডাজনিত রোগে যেসব পানীয় বিশেষ উপকারী

খবর৭১ঃ শীতে ঠাণ্ডা-কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা, সাইনাস-মাইগ্রেন এ সব সমস্যা লেগেই থাকে। সে ক্ষেত্রে কিছু পানীয় এ ধরনের সমস্যা থেকে এই শীতে নানা উপকারের পাশাপাশি কিছুটা হলেও আমাদের আরাম দিতে পারে।

দারুচিনি:দারুচিনি ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। গরম পানিতে কয়েক টুকরা দারুচিনি দিয়ে তা ফুটিয়ে পান করলে বা দারুচিনিগুঁড়া যদি প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায় তবে তা ঠাণ্ডার সমস্যা অনেকটা দূর করে থাকে। সেই সঙ্গে সাইনাস এবং মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও আরাম প্রদান করে থাকে।

আদা: আদা রান্নায় মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আদার পুষ্টি গুণাগুলে ভরপুর। এই সময়ে কুসুম গরম পানিতে আদাকুচি করে ফুটিয়ে যদি পান করা যায় তবে তা বেশ কার্যকরী। সেই সঙ্গে আদা দিয়ে রং চা বানিয়েও খাওয়া যায়- এটিও বেশ উপকারী। ঠাণ্ডার সমস্যা দূর করার পাশাপাশি তা অনেকক্ষণ পর্যন্ত এনার্জিটিক রাখতে সাহায্য করে।

লেবু ও মধুর পানি:খুবই পরিচিত একটি পানীয় লেবু-মধুর পানি। এই পানীয় হজমশক্তি বাড়াতে যেমন সাহায্য করে তেমনি গলার ব্যথা ও সর্দি দূর করতেও সাহায্য করে।

লবঙ্গ ও গোলমরিচ:সামান্য পরিমাণ লবঙ্গ এবং গোলমরিচ যদি একটু চিবিয়ে খাওয়া যায় তবে তা গলা ব্যথা, মাথা ব্যথার সমস্যা দূর করতে কিছুটা সহায়তা করে থাকে। রং চায়ের সঙ্গে ফুটিয়েও লবঙ্গ ও গোলমরিচ পান করা যায়। এটি ঠাণ্ডার বিরুদ্ধে কাজ করে এবং ঠাণ্ডায় নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে আরাম দিয়ে থাকে।

পুদিনা পাতা ও তুলসি পাতা:পুদিনা পাতা ও তুলসি পাতা দিয়ে তৈরি করা চা অনেক সময় কফ (কাশ) জমে থাকার সমস্যা দূর করে থাকে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যদি এর সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে খাওয়ানো যায় তবে তা আরও অনেক বেশি উপকারী।

সুতরাং এই শীতে যদি সকালের নাশতার সময় এবং সন্ধ্যার নাশতার সময় এই পানীয়গুলো এক কাপ পরিমাণ পান করা যায় তবে তা সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা এবং মাথা ব্যথার সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও আরাম দেবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here