মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুরঃ নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে বাইসাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁরকাটা শ্রমিক সোহেলকে (২৫) পিটিয়ে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আরো দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে,পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে সৈয়দপুর শহরের পাঁচমাথা মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতা করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে মামলার এজাহারভূক্ত এক ও দুই নম্বর আসামী রকি (২৩) এবং সনু (২৫)। তারা উভয়ে সৈয়দপুর শহরের মুন্সিপাড়া খেঁজুরবাগ এলাকার ইলেকট্রিক মিস্ত্রী মো. কোরবান আলী ওরফে কাল্লুর ছেলে। এ নিয়ে সোহেল হত্যার মামলার এজাহারনামীয় তিন আসামীসহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। তবে মামলার তিন নম্বর আসামী জনি (২৭) পলাতক রয়েছে। এর আগে গত ১১ নভেম্বর সোহেল হত্যা মামলার চার নম্বর আসামী সৈয়দপুর শহরের মুন্সিপাড়া খেঁজুরবাগ এলাকার ইলেকট্রিক মিস্ত্রী মো. কোরবান আলী ওরফে কাল্লুর ছেলে মো. ফয়সাল (১৫) এবং অপর একজন শহরের ওয়াপদা মোড় এলাকার সদরুল হাসানের ছেলে মো. সুরুজকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়। ওইদিন (১১ নভেম্বর) বিকেলে গ্রেপ্তারকৃত আসামী ফয়সাল ও সুরুজ নীলফামারীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী গ্রহন করা হয়। পরে আদালদের নির্দেশে গ্রেপ্তারকৃত মধ্যে মো. সুরুজকে নীলফামারী জেলা কারাগারে এবং ফয়সালকে যশোরের কিশোর শোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সৈয়দপুর শহরের চাঁদনগর মহ্ল্লার মো. সাইদুল ইসলামের ছেলে মো. সোহেল (২৫)। সৈয়দপুর বিসিক শিল্প নগরীতে আলম তাঁরকাটা ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকের কাজ করতো সে। ঘটনার দিন গত ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে থেকে তাঁর বাইসাইকেলটি চুরি যায়। চুরি যাওয়া বাইসাইকেলের খোঁজে বের হয়ে শহরের খেঁজুরবাগ এলাকার বখাটে রকি, সনু, জনি ও ফয়সালসহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জন বখাটের বেদম পিটুনিতে সোহেলের মৃত্যু ঘটে।
এ ঘটনায় গত ৭ নভেম্বর রাতে নিহত সোহেলের বাবা মো. সহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে চারজন আসামী রকি, সনু, জনি ও ফয়সাল নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জনের নামে সৈয়দপুর থানায় একটি মামরা দায়ের করেন।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসনাত খান সোহেল হত্যা মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামীকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।