খবর৭১ঃ বহিরাগতদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সদস্যদের ওপর হামলা এবং মানিব্যাগ, মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকাটাইমসকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনা অঞ্চলের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এসএম শামীম।
তিনি বলেন, ‘ডাকসু ভবনে মারামারিকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিএম সাব্বির। মামলায় ভিপি নুরসহ অজ্ঞাতনামা ২৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।’
মামলায় বলা হয়েছে- ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) গেট বন্ধ করে ভিপি নুরুল হক নুর বহিরাগতদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সদস্যদের ওপর হামলা করে। এসময় লাঠি ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের ফলে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলামসহ ৮ জন গুরুতর জখম হন। এ সময় তাদের মানিব্যাগ, মোবাইল ও হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেন আসামিরা। ১৫ থেকে ২০ জন লাঠি ও দেশিয় ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে।’
এদিকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ফুটেজ ও ছবিতে দেখা গেছে, গত রবিবার ডাকসু ভবনে প্রবেশ করে ভিপি নুর ও তার অনুসারিদের পিটিয়ে গুরতর জখম করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সদস্যরা। ওই হামলার ঘটনায় ভিপি নুরসহ প্রায় ৩০জন হাসপাতালে ভর্তি হন। এখনও বেশ কয়েকজন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় শাহবাগ থানা পুলিশ মঙ্গলবার বাদী হয়ে একটি মামলাও করে। মামলায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ৮ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
তারা হলেন- মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাবি শাখার সভাপতি এ এস এম সনেট, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য, এ এফ রহমান হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইমরান সরকার, কবি জসিম উদ্দিন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াদ আল রিয়াদ (হল থেকে অস্থায়ী বহিষ্কৃত), জিয়া হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম মাহিম এবং মাহবুব হাসান নিলয়।
হামলায় জড়িত থাকায় সোমবার দুপুরে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন ও ঢাবি শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তুর্য এবং মেহেদী হাসান শান্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন।
রবিবারের হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নুরের পক্ষে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। সেই মামলায় ছাত্রলীগের ৩৭ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ ৪০-৫০ জনকে আসামি করেছেন। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের নামও রয়েছে।
নুর ও তার সহযোগীদের ওপর হামলায় যারা জড়িত থাকুক তাদের আইনের আওতায় আনা কথা জানান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
ঘটনার চারদিন পর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ উল্টো অভিযোগ এনে ডাকসু ভিপিসহ তার অনুসারিদের বিরুদ্ধে মামলা করল।