খবর৭১ঃ তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সাহেব যে কথাগুলো বলেছেন- আমি মনেকরি এ কথাগুলো বলার আগে তার পদত্যাগ করা প্রয়োজন ছিল। কারণ তিনি তার যে সমস্ত ব্যর্থতার কথা বলেছেন, এগুলো স্বপদে থেকে বললে আত্মপ্রবঞ্চনা হয়।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়কালে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন তিনি।
মাহবুব তালুকদারের নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার নিয়ে মন্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের অর্থাৎ আওয়ামী লীগের দাবির প্রেক্ষিতেই নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন প্রক্রিয়ার অনেক সংস্কার হয়েছে। বাংলাদেশে আজকে যে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা, তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার দাবি ছিল। সেই দাবির প্রেক্ষিতেই ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা হয়েছে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াতে অনেক সংস্কার হয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি যুগের প্রয়োজনে যেকোনো সময় হতে পারে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এক সময় আমাদের দেশে হাত তুলে ভোট দেওয়া হতো। পরে সেই ভোট ব্যালটের মাধ্যমে এবং সেইসাথে এখন ইভিএম মেশিনে দেওয়া হচ্ছে। এগুলো নির্বাচন প্রক্রিয়া সংস্কারের একটি চলমান প্রক্রিয়া।’
মাহবুব তালুকদারের বক্তব্যে কমিশনের স্বাভাবিক অবস্থান নষ্ট হবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘আমি মনে করি না এতে কমিশনের স্বাভাবিক অবস্থা নষ্ট হয়। কারণ মাহবুব তালুকদার সাহেব বিভিন্ন সময় এ ধরণের কথা বলে আলোচনায় থেকেছেন, তিনি এ ধরণের দ্বিমত পোষণ করে আলোচনা থাকার চেষ্টা করেছেন। সেটিই প্রতীয়মান হয়।’
নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না জেনেও আমরা বিএনপি প্রার্থীতা ঘোষণা করবে-বিএনপি মহাসচিবের এ বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণার জন্য তাদেরকে স্বাগত জানাই। আমরা সরকার গঠন করার পর বাংলাদেশে অতীতে যে সমস্ত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হয়েছে, সবগুলো সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। সেগুলো যদি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ না হতো তাহলে আমরা বেশ কয়েকটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পরাজিত হতাম না এবং বিএনপি অনেক ক্ষেত্রে জয়ী হতো না। এই নির্বাচনও সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে বলে আমার বিশ্বাস। নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করছে। সেই কারণে দেখা গেছে যে, অনেক নির্বাচনে আমরা পরাজিত হয়েছি।’