খবর৭১ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানীর ‘প্রত্যক্ষ মদত ও হস্তক্ষেপেই’ ডাকসু ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। এ সময় তিনি প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেছেন। গতকাল বুধবার বেলা দুইটায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাইরে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। প্রসঙ্গত, গত রবিবার ডাকসু ভবনে ভিপি নুরুলের কক্ষে ঢুকে হামলার পর ডাকসু ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব করা হয়।
রাশেদ খাঁন বলেন, ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত মাত্র তিনজনকে আটক করা হয়েছে। যাদের আটক করা হয়েছে, তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মী। অথচ হামলার ঘটনায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিল ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। তাদের এখনো গ্রেফতার করা হয়নি।
আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আমরা ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে মঙ্গলবার শাহবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। বুধবার সকালে থানা থেকে বলা হয়েছে, আমাদের অভিযোগটি মামলা আকারে সংযুক্তির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি দাবি উত্থাপিত হয়। এগুলো হলো-দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে, অনতিবিলম্বে সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করে জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে, হামলায় আহতদের চিকিত্সার খরচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারকে নিতে হবে এবং ভিপি নুরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ছাত্ররা আহত হয়েছে তাদের প্রত্যেকের জীবনের নিরাপত্তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারকে দিতে হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, হামলার এ ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় একটি কমিটি গঠন করেছে। ওদের যত বক্তব্য সেই কমিটির কাছেই দেবে।
এদিকে হামলায় আহত নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, নুর কথা বলছেন, হাঁটছেন। তিনি আশঙ্কামুক্ত। শিগিগরই নুরসহ অন্যদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলায় গুরুতর আহত এপিএম সুহেল এখনো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিত্সাধীন রয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে মাথায় সফল অস্ত্রোপচারের পর তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানে তাকে আরো দুইদিন রাখা হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার ডাকসু ভবনে ভিপি নুরুল হকের কক্ষে হামলা চালানোর সময় সুহেলকে ডাকসু ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীরা। তিনি বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রাজিউল হক জানান, সুহেলের মাথায় ফ্র্যাকচার, কোমরে ব্যথা এবং চোখ ফোলা আছে। ফলে তাকে আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না