কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় নারী কর্মীকে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ

0
724
কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় নারী কর্মীকে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার একটি বাড়ি একটি খামার ও পল্লী সঞ্চয়ী ব্যাংকের উপজেলা সমন্বয়কারী মোকাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী কর্মীকে মোবাইল ফোনে উত্যক্ত, চরিত্র হনন, বাধ্যতামুলক চাকরিতে অব্যাহতিপত্রে স্বাক্ষর নেয়াসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় গত ১৮ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী ওই নারী কর্মী উপজেলা সমন্বয়কারী মোকাম্মেল হোসেন, উপজেলা সুপারভাইজার আসাদুজ্জামান রুবেল ও কম্পিউটার অপারেটর মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

ভুক্তভোগী নারী কর্মী মারানা আক্তার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের অধীনে ভানোর ইউনিয়নের মাঠ সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। অভিযোগ ওঠা উপজেলা সমন্বয়কারী, উপজেলা সুপারভাইজার ও কম্পিউটার অপারেটর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় কর্মরত। উপজেলা সমন্বয়কারী মোকাম্মেল হোসেন বিনা কারণে ওই নারী কর্মীর বেতন ভাতা বন্ধ রাখা, হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরে বাধা প্রদান, টাকা হাতিয়ে নেয়া, বিনা কারণে মোবাইলে উত্যক্ত, মিথ্যা কথায় চরিত্র হননের অপচেষ্টা, হুমকি দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেয়াসহ মোট ১৬টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগের কপিতে।

মারানা মুঠোফোনে জানান, ৪ মাস ধরে উপজেলা সমন্বয়কারী মোকাম্মেল হোসেন আমার শরীর নিয়ে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য করে আসছেন। অফিসে একা পেলেই আমার শরীর নিয়ে উল্টা-পাল্টা কথা বলেন। বিয়ষটি আমার শ্বশুড়বাড়ি পর্যন্ত গড়িয়েছে। এছাড়াও আমাকে চাকুরিচ্যুত করতে ঋণ অনুমোদন হলেও সময়মত প্রদান না করাসহ নানাভাবে হয়রানি করছে। উপজেলার সুপারভাইজার ও কম্পিউটার অপারেটর কর্মকর্তা ওই কাজে সহায়তা করছে।

তিনি আরো বলেন, আমি চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে তিনি আমাকে অভিযোগ দিতে বলেন। তাই অভিযোগ দিয়েছি। সুষ্ঠু বিচার না পেলে চাকরি ছেড়ে দেবো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুর আলম সুমন জানান, নারী কর্মী মারানা আক্তারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোকাম্মেল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো ওই নারীর কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মুঠোফোনে জানান, মারানা নিয়মিত অফিস না করেই বেতন উত্তোলনের চেষ্টা করে। নিজের বোনের মতো ভেবে তাকে অনেকবার বুঝিয়েছি। কিন্তু শোনেনি। এখন উল্টো আমিসহ আমার কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্ত করছেন। আমাদের সবাইকে ডেকেছেন। সবাই মুখোমুখি হলে প্রমাণ হবে কোনটা সত্য, আর কোনটা মিথ্যা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here