খবর৭১ঃ মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) শামসুল আরেফিন বলেছেন, আমরা অনেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি জানতে ও প্রকাশ করতে আগ্রহী। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব সরকারি কর্মকর্তা বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন, তারা কীভাবে সংগ্রাম করেছেন, সেটাও আজকের প্রজন্মকে জানানো জরুরি। এটা করা হলে সেই সময়ের আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে তিনি অভিমত দেন।
তিনি তার বক্তব্যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় সেখান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, পরে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার নিরলস গবেষণা কাজে লেগে থাকার কথা শোনান।
মেজর (অব.) শামসুল আরেফিন বলেন, জীবনের পুরোটাই কেটেছে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। আমার বইয়ের রেফারেন্স ধরে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হয়েছে।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব গ্রন্থাগারের মুক্তিযুদ্ধ কর্নার উদ্বোধন উপলক্ষে সবুজ চত্বরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের ওপর নিজের চল্লিশটি বই লেখার কথা জানান। সভাপতির বক্তব্যে সাইফুল আলম বলেছেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি।
এ দেশ কখনও মেধাশূন্য হবে না দাবি করে সাইফুল আলম বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের মুক্তিযুদ্ধ কর্নার উদ্বোধনের মাধ্যমে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। দেশ শুধু অর্থনৈতিকভাবেই নয়, সার্বিকভাবেও এগিয়ে যাচ্ছে এবং আরও এগিয়ে যাবে।
সকাল সোয়া ১০টায় সবুজ চত্বরে সমবেত জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা হলেন-রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, হারুন হাবীব, অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, হাসান শাহরিয়ার, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, মুহাম্মদ শফিকুর রহমান এমপি, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মনজুরুল আহসান বুলবুল, সৈয়দ দীদার বখত, সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান, শামসুদ্দীন পেয়ার, স্বপন সাহা, ওমর ফারুক, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, আবদুল জলিল ভূঁইয়া, জাকারিয়া কাজল, আবু জাফর সূর্য, শাহেদ চৌধুরী, মাইনুল আলম, শাবান মাহমুদ, সোহেল হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশ পোস্টের সম্পাদক শরীফ শাহাবুদ্দিন প্রমুখ।
‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’ গানটি গেয়ে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। শিল্পী স্বপন কুমার দাশ ও শ্রাবণী শর্মা দ্বৈতকণ্ঠে গেয়ে শোনান ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে’ গানটি। এরপর অতিথি ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের উত্তরীয় পরানো হয়। ক্লাব লাইব্রেরি ও রেফারেন্স উপকমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন লাইব্রেরি ও রেফারেন্স উপকমিটির আহ্বায়ক শাহনাজ বেগম।
প্রেস ক্লাবের সবুজ চত্বরে থেকে অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে ক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম লাইব্রেরিতে যান। সেখানে ফিতা কেটে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার উদ্বোধন করেন মেজর (অব.) শামসুল আরেফিন। এর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ক্লাবের সদস্যদের লেখা পুস্তক এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সিনিয়র ফটো সাংবাদিকদের প্রকাশিত নানা বই।